গত ২৫ ডিসেম্বর বুধবার রাতে ২০/২২ সদস্যের একদল সন্ত্রাসী এ হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা ৩০লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
পুলিশ জানায়, তারাবো পৌরসভার খাদুন মৌজাস্থিত করা হয়েছে।
তানভীর হাসান মিলনের স্ত্রী শামীমা আক্তার শ্যামলী (৩০) সাব কবলা ৫০৯৬/২৪ নম্বর দলিলে সাড়ে ৭ শতাংশ জমিতে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করে ভোগ দখলে আছেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা রায়হান কবির ভূঁইয়া সুমন বেশ কিছুদিন ধরে জোরপূর্বকভাবে শামীমা আক্তার শ্যামলীর বাড়ি দখলের পায়তারা করে আসছিলো। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর কবির ভুইয়ার ও তার সহযোগীরা শামীমা আক্তার শ্যামলীর স্বামী তানভীর হাসান মিলনকে দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে।
বুধবার রাতে একদল সন্ত্রাসী পিস্তল, রামদা, চাপাতি, দা- ছুরি, সুইচ গিয়ার, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তানভীর হাসান মিলন ও তার ভাড়াটিয়া সফিক মিয়াকে বেদম প্রহার করে নগদ টাকা, স্বর্ণের চেইন, ৪০টি জুকি সুইং মেশিন, মোবাইল ফোনসহ ৩০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তানভীর হাসান মিলনের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ৪/৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। আহত সফিক মিয়াকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি
এদিকে খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলামসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় হামলাকারীদের মধ্যে যুবলীগ নেতা রায়হান কবির ভুইয়া সুমনকে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। রাত ১০ টার দিকে অজ্ঞাকত কারনে পুলিশ আটককৃত যুবলীগ নেতা রায়হান কবির ভূইয়া সুমনকে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী তানভীর হাসান মিলন তারাবো পৌরসভার খাদুন গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর কবির ভূঁইয়া (৬০), জাহাঙ্গীর কবির ভূঁইয়ার ছেলে রায়হান কবির ভূঁইয়া সুমন (৪৫), তোফাজ্জল মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া(৪৭), হাকিম মিয়ার ছেলে রাজু মিয়াকে (৩০) নামীয় ও অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর- ৪০(১২) ২০২৪।
রূপগঞ্জ থানা ওসি লিয়াকত আলী বলেন, এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার ‘গ’ সার্কেল মেহেদী ইসলাম বলেন, যুবলীগ নেতা রায়হান কবির ভূঁইয়া সুমনকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার বিষয় আমার জানা নেয়। তবে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।