নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশের কথা বলে তিন মাস অনুপস্থিত থেকে নারায়নগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান চেীধূরী স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করলে সাধারন শিক্ষকদের বাঁধার কারনে অফিসে বসতে না পেরে স্কুল থেকে বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়।।
এদিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মাসফাকুর রহমান জানান জেলা প্রশাসক মহোদয় এধরনের কোন নির্দেশ দেয়নি।
ষৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর নারায়নগঞ্জ হাই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের চাপে তিন মাস আগে উক্ত প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন ভাবে স্কুলে ঢুকতে চেষ্টা করে। কিন্তু বার বার শিক্ষকদের বাধার কারনে ঢুকতে পারেনি।
গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গভনিং বডির সভায় বিতারিত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের আনীত অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল ওহাব।
তিনি বলেন প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়ার বিরুদ্ধে এক বছরে ২১ লাখ টাকা আত্বস্বাতের অভিযোগ প্রমানিত হয়। এসময় সভায় উপস্থিত মাহমুদুল হাসান ভুইয়া তাকে ক্ষমা করে দেয়ার অনুরোধ জানান।
জেলা প্রশাসক সভায় জানান এটা স্কুলের বিষয়। যারা অভিযোগ করেছেন তাদের অভিযোগ তদন্ত করে প্রমানিত হয়েছে। তারপরও তিনি বৃহস্পতিবার কিভাবে স্কুলে ঢুকেছেন সেটা তিনি জানেন না। পরে অন্যান্য শিক্ষকদের বাধার মুখে সকালে তিনি মাঠে কিছুক্ষন অপেক্ষা করে চলে যায়। বিকেলেও তিনি আরো একবার বহিরাগত লোক নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করেন।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা মাসফাকুর রহমান জানান,জেলঅ প্রশাসকের নির্দেশের কথা বলে হেডমাষ্টার স্কুলে ঢুকার চেষ্টা করেছে। কিন্তু জেলা প্রশাসক মহোদয় এরকম কোন নির্দেশ তাকে দেয়নি।