বুধবার (২৭শে নভেম্বর) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মমিনুল ইসলামের আদালতে দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাকির খান এর পক্ষের আইনজীবীরা।
এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী মোঃ রবিউল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সাব্বির আলম হত্যা মামলায় আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়েছে। মামলায় ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছে। সেসব সাক্ষীদের কোথায় কোথায় ত্রুটি রয়েছে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে এই মামলায় সন্ত্রাসী বা আততায়ী যারা হত্যকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
আসামি হিসেবে তাদের নাম আসেনি। সেকারণে এই ঘটনার পেছনে কে বা কারা ইন্ধন দিয়েছে ও ষড়যন্ত্র করেছে তা এখন দেখার বিষয়। সেক্ষেত্রে বাদী পক্ষ কেউ কিছু বলতে পারেনি ও উপস্থান করতে পারেনি। তাছাড়া ঘটনার সময় ও ঘটনার পরে জাকির খান বিদেশে ছিল। শত্রুতাবশত ও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য তৈমুর আলম খন্দকার, সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন তাকে মামলার আসামি করেছেন। সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন ও খোরশেদ আলম এই মামলায় তাকে আসামি করার পেছনে ইন্ধন জুগিয়েছেন। তবে খোরশেদ আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন, কে বা কারা তার ভাইকে হত্যা করেছে তা তিনি জানেন না। কারা তাকে হত্যা করেছে সেটা জনগণ জানে। কিন্তু জনগণ তো আর সাক্ষী দিতে আসবে না। বাকি সাক্ষী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা কেউ বলতে পারেনা কোথায় কি জব্দ করেছেন। সুতরাং আমাদের আসামিকে নির্দোষ দাবি করছি।
তিনি আরও জানান আশা করি, জাকির খান খালাস পাবে। আজকে আমাদের যুক্তিতর্ক সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিকর্ত করবে। যদি রাষ্টপক্ষ আমাদের কিছু বলে সেক্ষেত্রে আমরা জবাব দেবো।এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড, সরকার হুমায়ুন কবির, এড,রাজিব দাস,মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মনির হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ লিংকন খান, জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক সলিমুল্লা করিম সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ, আমিনুল ইসলাম, কাচ্নন আহমেদ, মহানগর যুবদলের নেতা পারভেজ মল্লিক, মৎস্যজীবী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া, শ্রমিক নেতা কাউছার হোসাইন, মোঃ সুমন, মোঃ রাসেল সহ প্রমূখ।