এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানান র্যাব-১১‘র উপ-পরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল রাতে পরিবারের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন ফতুল্লা থানার শিয়াচর এলাকার আনিছ মিয়ার ভাড়াটিয়া ও ঝুট ব্যবসায়ী কবির হোসেন (৩৫)। রাতের দিকে ভিকটিমকে ফোন করে তার ভাড়া বাসা থেকে ডেকে নেয় অভিযুক্ত আসামিরা। এরপর ভিকটিম আর বাড়িতে ফিরেননি। পরদিন সকালে পাশের এলাকার একটি ডোবা থেকে তার গলা ও পেট কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম কবির হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘ ১ যুগ পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর (২০২৩ সালে) উম্মে সরাবন তহুরা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, নারায়ণগঞ্জ মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। ঐ রায়ে দুই জনকে আমৃত্যু কারাদন্ড ও পাচঁজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আমৃত্যু কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, ফতুল্লার সিয়াচর এলাকার সালেহা বেগম ও মনির হোসেন। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলো, কাজল মিয়া, মোঃ জুয়েল, নুরুল ইসলাম, মাজেদুল ইসলাম ও মোঃ লিটন মিয়া। ঐ মামলার রায় হওয়ার পর হতে আসামী মোঃ মনির হোসেন আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারীর বাহিরে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন চলে যায় এবং দীর্ঘ দিন পলাতক থাকে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গ্রেপ্তারি সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানা ইস্যু হলে র্যাব-১১ অভিযান চালিয়ে মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে ফতুল্লা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।