সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে নেতৃবৃন্দরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানান- বর্তমান প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ আসামীরা গডফাদার শামীম ওসমান’র পালিত সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কথিত সাংবাদিক রাজু ও কমল খানের পাশাপাশি প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন শামীম ওসমান’র সঙ্গী হয়ে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। প্রেসক্লাবকে ব্যবহার করে তারা ভূমিদস্যুতা, ঝুট সেক্টর, ইন্টারনেট ব্যবসা, চাঁদাবাজী সহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। তাই আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানায় মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিকরা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্রেসক্লাবের সংকট সমাধানে সমঝোতার কথা বললে স্বৈরাচারের দোসর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অপসারণ দাবী করেন বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের নেতৃবৃন্দ।
গত ২৯ অক্টোবর বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের ব্যানারে স্থানীয় সাংবাদিকগণ যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রেসক্লাবের সদস্য পদ প্রাপ্তির জন্য স্মারকলিপি দিতে গেলে হামলা চালায় আবু সাউদ মাসুদ, রফিকুল ইসলাম জীবন, বিল্লাল হোসেন রবিন, মাহফুজ, আহসান সাদিক শাওন, জুয়েল সহ আরও ১০/১২ জন। এসময় দেশীয় অস্ত্র সহ হাই ভোল্টের ট্রেজার দিয়ে বৈদ্যুতিক শক দিলে মাঠ পর্যায়ের প্রায় ৬ জন সাংবাদিক আহত হয়। যাদের মধ্যে মাসুদ রানা রনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হলেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামীরা। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের নেতৃবৃন্দরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক আজকের নীরবাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এস. এম. ইমদাদুল হক মিলন, দৈনিক রুদ্রবার্তা ও রুদ্রকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক শাহআলম তালুকদার, শফিকুল ইসলাম আরজু, আনিসুল হক হিরা, মিলন বিশ্বাস হৃদয়, আল-আমিন, সুলতান মাহমুদ, ওয়ার্দে রহমান, মিঠু আহমেদ, মশিউর রহমান, রাশেদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম জনি, মেহেদি হোসেন, মোঃ মনির, আলী হোসেন টিটু, হাবিব, সাজু, জাহিদ হোসেন, আশিক আহমেদ, কাইয়ুম আহমেদ, কমল হোসেন, সাজ্জাদ খান, মনির হোসেন, রাকিব হোসেন সহ মাঠ পর্যায়ের সাংবাদিক বৃন্দ