ঘটনাস্থল থেকে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের মাঠ পর্যায়ের নির্যাতিত পেশাদার সাংবাদিক মাসুদ রানা রনি ও আরো বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম জীবনের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য ক্লাবে প্রবেশ করে। এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই আবু সাউদ মাসুূদের নেতৃত্বে রনি সহ সকল সাংবাদিকদের উপর তারা অতর্কিত হামলা করে রক্তাক্ত করে রনি সহ ৫/৬ জন সংবাদকর্মীকে।
গুরুতর আহত সাংবাদিক রনি জানান, প্রেসক্লাবে প্রবেশ করলেই আমাকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী আবু সাউদ মাসুদ, ছাত্র-আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামী বিল্লাল হোসেন রবিন ও রফিকুল ইসলাম জীবন ওরফে ভূমিদস্যু জীবন, জুয়েল, সাদিক ও মাহফুজের শেল্টারে সন্ত্রাসী রুবেল, মিকাঈল, আরিফ, রাজু সহ আরো বেশ কয়েকজন লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে আমাকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মারধর করে মাটিতে ফেলে হকিস্টিক দিয়ে উপর্যুপরি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে।
ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিক মনির হোসেন জানান আমাকে ক্লাবের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, নামাজ পড়ে এসে দেখি লিফট বন্ধ গেইটে তালা, তার কিছুক্ষণ পরেই দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় বের করা হচ্ছে রনি ভাইকে। পরে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রনিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। এ ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি। রনি অসুস্থ্য, সে এখন চিকিৎসাধীন। জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যেহেতু নিজেদের ভিতরে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তাই আপাতত কোন মামলা হবেনা। সমঝোতার জন্য আলোচনা করা হবে।