বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে সকল বীর শহীদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্বাস্থ্য এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বাদ আসর চাঁদমারি মডেল কলেজ সংলগ্ন মাদ্রাসায় মাঠে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহবায়ক- সলিমুল্লা করিম সেলিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন খান,জাখামুপ’র যুগ্ন আহবায়ক সারোয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক অর্থ সম্পাদক নুরে আলম হানিফ,নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক এইচ এম হোসেন,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাঞ্চন আহমেদ,নূরে আলম,শাহিন আহমেদ,হাজী সোহেল,যুবদল এলখাস,রবি,মজিবর রহমান।
ফতুল্লা থানা জাকির খান মুক্তি পরিষদের সভাপতি নয়ন তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিকের সঞ্চালনায় দোয়া ও মিলাদ পূর্বক আলোচনায় প্রধাম অতিথির বক্তব্যে মোঃ সলিমুল্লা করিম সেলিম বলেন, বিএনপির সাথে বেঈমানি করে বিশ্ব বেঈমান ও বিশ্ব বেহায়া হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তৈমুর আলম। তৈমুর আলমের গ্রেফতারের দাবী জানা তিনি। মিথ্যা হত্যা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়ে আমাদের প্রিয় নেতা জাকির খান। আগামীতে নারায়ণগঞ্জে সুস্থ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন জাকির খান। তিনি বলেন,চাঁদমারি বাসির নিকট আমরা কৃতজ্ঞ। আপনারা অতীতের মতো এখনো জাকির খানকে মনেপ্রাণে ভালোবাসেন।তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। তিনি আরো বলেন,জাকির খানের অপেক্ষায় নারায়ণগঞ্জবাসী।নারায়ণগঞ্জের প্রাণপুরুষ জাকির খান অচিরেই মুক্তি পাচ্ছে।আপনাদের দোয়া চেয়েছেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও নারায়ণগঞ্জের প্রাণপুরুষ জাকির খানের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সলিমুল্লা করিম সেলিম।
জাকির খান মুক্তি পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক সারোয়ার হোসেন বলেন,
জাকির খান মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেয়ে আমাদের মাঝে বীরের মতো ফিরে আসবে।জাকির খানের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হবে।আগামীতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করবে জাকির খান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা ছাত্রদলের সাবেক অর্থ সম্পাদক নুরে আলম হানিফ বলেন,জাকির খানকে বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার অনেক প্রলোভন দেখিয়েছে।কিন্তুু জাকির খান দলের সাথে বেঈমানি করেননি।জাকির খানকে ক্ষুদিরামের ফাসি ছাড়া অনেক নির্যাতন করেছে।জাকির খান গন মানুষের নেতা।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন,১৭ বছর আপোষ করেনি আমাদের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।তিনি শত নির্যাতন সহ্য করে জনগনের পাশে ছিলেন।জনগনকে ফেলে তিনি শেখ হাসিনার মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি।জাকির খানের নামে মিথ্যা মামলার আসামী করার অভিযোগে তৈমুর আলমকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান জিয়া।
সমাপনি বক্তব্যে রাখেন,এলকে রনি।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বিএনপি ও অংগ সংগঠনের ,সাফিকুল ইসলাম,জাকির হোসেম মুন,মজিবুর রহমান,আরিফ হোসেন,সনেট আহমেদ,মশিউর রহমান মশুসহ প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে বেগম জিয়া ও জাকির খানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে দোয়া করা হয়।