নারায়নগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়াকে অপসারনের দাবীতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে স্কুলের কর্মরত শিক্ষকরা। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের কাছে প্রায় ৪০জন শিক্ষক তার দপ্তরে গিয়ে স্মারক লিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়া স্কুলে যোগদান করার পর আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। গভনিং বডির সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চন্দন শীলের সহযোগিতায় প্রতিমাসে সরকারী বেতন ছাড়াও ৮৮হাজার টাকা চার্জ এলাউন্স এবং বাসা ভাড়[া বাবদ নিয়ে থাকে। অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে ৮জন শিক্ষককে চাকুরীচ্যুত করে নতুন ভাবে ২২জন শিক্ষক নিয়োগ করেন। এ নিয়োগের মধ্যে তার ছেলে রয়েছে।অভিযোগ রয়েছে এ সব শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা করে ঘুষ নেয়। শিক্ষকরা অভিযোগ করেন গত দুই বছর যাবত প্রধান শিক্ষক ভর্তি বানিজ্য করেন। ৩০হাজার থেকে শুরু করে ৫০হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা নিয়ে টেষ্ট পরীক্ষায় অনুর্ত্তীন শিক্ষার্থীদের ভর্তি করেছেন। উল্লেখ্য গত সোমবার স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে রাখে। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রখান শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে তার কক্ষ ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে পদত্যাগ করার জন্য দাবী জানান। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হককে অবহিত করলে তিনি শিক্ষকদের তার অফিসে যাওয়ার জন্য আহবান জানালে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যেতে রাজী না হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ নুরুন্নবী কে স্কুলে পাঠালে তিনি পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ছাত্র-শিক্ষকদের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষককে ছুটি নিয়ে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে চলে যেতে বলেন। এসময় প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হক উত্তেজনার মুখে স্কুল ত্যাগ করেন। এদিকে ছাত্র-শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম¥দ নুরুন্নবী বলেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র শিক্ষকরা আর্থিক অনিয়ম সহ নানান অভিযোগ জানিয়েছেন। এ গুলো তদন্ত করে নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে বরখাস্ত করা হবে।
স্কুলের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন বিগত গভনিং বডির সভাপতি চন্দন শীল প্রদান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়াকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেন। তার ছত্রছায়ায় থেকে মাহমুদুল হাসান ভুইয়া নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। ইতিমেধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান এবং সাথী রানী সাহা ছাত্র শিক্ষকদের অবরোধের কারনে স্কুল ত্যাগ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে পট পরিবর্তনের পর সে নিয়মিত স্কুলে না আসায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।