আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মুখ মানববন্ধন করে উপজেলার এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।
প্রায় আধাঘণ্টা মানববন্ধন শেষে সনমান্দী হাসান খাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলেয়ার হোসেন ও নোয়াগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান,হোসেনপুর শম্ভুপুরা পিরোজপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক মিয়াজী,বারদী হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তাফা স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এসময় সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষকেরা বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার ৯৭ ভাগ দায়িত্ব পালন করছি আমরা। কিন্তু বেতন-ভাতার দিক দিয়ে আমরা বৈষম্যের শিকার। দেশ স্বাধীনের পর ৫৩ বছর হলেও আমাদের বৈষম্যের অবসান হয়নি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার স্বাদ পেলেও এখন পর্যন্ত শিক্ষা উন্নয়নের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। তাই দ্রুত মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। নাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
বক্তারা আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে একজন শিক্ষক ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে কীভাবে তার সংসার চালাতে পারেন। অধ্যক্ষ থেকে পিয়ন পর্যন্ত ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতায় কীভাবে চলতে পারেন। উৎসব ভাতা পান মূল বেতনের মাত্র ২৫ শতাংশ। অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যারা নিজ জেলার বাইরে চাকরি করছেন। এই ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া দিয়ে একটি বাড়ি তো দূরের কথা, খুপরি ঘরও পাওয়া যাবে না।
পাঁচশ টাকা চিকিৎসা ভাতা, যা দিয়ে একবার ডাক্তারের ফি হয় না। মূল বেতনের ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, যা অন্যের কাছে বলতেও খারাপ লাগে। এতো বৈষম্যের মধ্যে থেকেও দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ৯৭ শতাংশ দায়িত্ব পালন করছি আমরা। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা এখন সময়ের দাবি, যোগ করেন তারা।