অবশেষে শিক্ষক-ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের চাপে স্কুল ছেড়ে যেতে বাধ্য হলেন নারায়নগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়াকে।
রবিবার সকাল থেকে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে রাখে। এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রখান শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে তার কক্ষ ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে পদত্যাগ করার জন্য দাবী জানান। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হককে অবহিত করলে তিনি শিক্ষকদের তার অফিসে যাওয়ার জন্য আহবান জানালে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যেতে রাজী না হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ নুরুন্নবী কে স্কুলে পাঠালে তিনি পরিস্থিতি বুঝতে পেরে ছাত্র-শিক্ষকদের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষককে ছুটি নিয়ে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে চলে যেতে বলেন। এসময় প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হক উত্তেজনার মুখে স্কুল ত্যাগ করেন।
এদিকে ছাত্র-শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নুরুন্নবী বলেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম সহ নানান অভিযোগ জানিয়েছেন। এ গুলো তদন্ত করে নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে বরখাস্ত করা হবে।
স্কুলের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন বিগত কমিটির সভাপতি চন্দন শীল প্রদান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়াকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেন। তার ছত্রছায়ায় থেকে মাহমুদুল হাসান ভুইয়া নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। সরকারী বেতন ছাড়াও তিনি স্কুল একাউন্ট থেকে প্রতিমাসে চার্জ এলাউন্স বাবদ ৮৮হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। সা¤্রতিক সময়ে পট পরিবর্তনের পর সে নিয়মিত স্কুলে না আসায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।