শনিবার (৭ই সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি,র এর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদুজ্জামান বলেন, গত একমাস যাবৎ চাঁদাবাজি, দখল, মামলা চলছে। আমরা ব্যাবসায়ীরা কখনও রাজনীতির সাথে জড়িত না। আমরা কখনও কখনও পরিস্থিতির শিকার। স্বাধীনতার পর থেকে ব্যাবসায়ীরা সব সময়ই নির্যাতিত হয়। আমরা ভয়ে থাকি, বলতে পারি না। দিন শেষে পরিবর্তন হলে আমাদের ওপর দিয়েই ঝড় ঝাপটা যায়। গত কয়েকদিনে কিভাবে চাঁদা আদায় হয়েছে, কিভাবে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে, কিভাবে হুমকি-ধামকি চলছে তার তথ্য-ডকুমেন্ট আছে। আমার চেম্বারও আক্রান্ত। দশ লাখ টাকার দাবী ছিল, তিন লাখ টাকায় মিটিয়েছি। সাত লক্ষ টাকার জন্য চাপ আছে এখনও। আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান বিকেএমইএও বাধ্য হয়ে ৫ লক্ষ চাঁদা দিয়েছে। আমি বলতে চাই টাকা ফেরত দিতে হবে। আমি নাম উল্লেখ করলাম না, সময় দিলাম। আমি শহীদ মিনারে গিয়ে লাল কার্ড দেখাবো, নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বের করে দিব। সে যত বড় নেতাই হোক। আমরা দলীয় প্রধানদের লিখিত অভিযোগ দেব। আমরা ঝামেলামুক্ত ব্যবসা করতে চাই। নারায়ণগঞ্জকে নতুন করে গড়তে চাই, এর জন্য প্রয়োজন আপনাদের সহযোগীতা।
তিনি বলেন, আমরা ব্যাবসায়ী। আমরা ঝামেলামুক্ত ব্যাবসা করতে চাই। পরিস্থিতি যেহেতু স্বাভাবিক হচ্ছে না। আমার নিজেকেই নিজের রক্ষার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। সমস্ত ব্যবসায়ীদের বলতে চাই, যার যার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গড়ানের লাঠি রাখেন। আমরা একসাথে এদের একত্রিত হয়ে প্রতিহত করবো। সাথে বলতে চাই, কোন ব্যাবসায়ী কোন ধরণের ভুল অভিযোগ করবেন না। এটা কারও বিরুদ্ধে প্রমানিত হলে চেম্বারের সদস্য পদ খারিজসহ আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ ভাইদের বলতে চাই, একটু একটিভ হোন। আমরা আপনাদের জন্য সহায্যের হাত বাড়িয়ে দেব।
তিনি আরও বলেন, শহরের ট্রাফিক ব্যাবস্থা ভেঙে পড়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহরে চলা যাচ্ছে না। কালিরবাজার থেকে চাষাড়ার ৭ মিনিটের রাস্তায় আসতে ৫০ মিনিট লেগে যায়। সেই সাথে আমি বলতে চাই, চেম্বার আর কোনদিন রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যাবহৃত হবে না। এটা ব্যাবসায়ীদের কার্যক্রমের জন্যই ব্যবহৃত হবে। ত্বকী ও চঞ্চলসহ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যত হত্যা হয়েছে নারায়ণগঞ্জে আমরা প্রতিটি হত্যার বিচার চাই। এত বছর হয়ত পরিস্থিতির কারণে বলতে পারিনি। আমরা রাব্বি ভাইয়ের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমরা সমস্ত হত্যার বিচার চাই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, বিকেএমইএ ’র নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম, রতন কুমার সাহা, মাহবুবুর রহমান, মহসিন রব্বানী, তারেক সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ আবু জাফর, মো. সেলিম হোসেন, সোহেল আক্তার, আশিকুর রহমান, মো. জাকারিয়া ওয়াহিদ সহ প্রমূখ ।