এই বিষয়টি জানতে পেরে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী থানার ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুজ্জামান হৃদয় তার সহকর্মীদের নিয়ে ঐ ভূয়া সমন্বয়ক রাজকে ধরে নিয়ে আসে। পরে রাজ জনসম্মুখে স্বীকার করে যে সে কোনো সমন্বয়ক যুবলীগ নেতা খালেক মুন্সি তার সাথে পাঁচ লাখ টাকার চুক্তি করে সে যেনো সমন্বয়ক সেজে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুস সাত্তার বি.ডি.আর ও সাধারণ সম্পাদক মো. মিজান মোল্লা সহ সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিদের অপমান-অপদস্ত করে। আমাকে দুই লাখ টাকা তারা দিয়েছে বাকি টাকা কাজ শেষ হওয়ার পরে দিবে বলেছে।
এবিষয়ে উত্তর পূর্ব মুন্সিবাগ সমাজ উন্নয়ন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজান মোল্লা বলেন, সন্ত্রাসী খালেক মুন্সির বড় বোন নিলু ছোট বোন নাজমা, নাসিমা, খালেক মুন্সির ভাই মালেকের ছেলের বউ হিরা, মেয়ে মারিয়া, সহকারী কুলসুম, শাহীনুর, মনি, মালেকের জেড্ডাইস মিনু ও তাদের সহযোগি সাজু, রিফাত ও আরজু এদের ষড়যন্ত্রে সমন্বয়কের নাম বিক্রি করে আমি সহ আমাদের পঞ্চায়েত কমিটির নেতৃবৃন্দকে অপমান অপদস্ত করা হয়েছে। আসলে এই সন্ত্রাসী খালেক-মালেক বাহিনীর অত্যাচারে সমাজের কেউ শান্তিতে থাকতে পারতো না। গত ৫ ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যখন স্বৈরাচারী সরকার পতন হয়েছে তখন ঐ স্বৈরাচারী সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী খালেক,-মালেক পালিয়েছে কিন্তু তাদের স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন ও সহকারীদের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে এবং তাদের বাড়ির জিনিসপত্র নিজেরাই সরিয়ে এলাকাবাসীর উপর মিথ্যা ক্লেইম দিয়েছে। আমাদের কাছে ভিডিও আছে খালেকের বাড়ির ভাড়াটিয়া কুলসুম ও শাহিনুর তাদের বাড়ির জিনিসপত্র নিজেরাই সরিয়ে এলাকাবাসীর উপর মিথ্যা ক্লেইম দিয়েছে।
পরবর্তীতে প্রকৃতি সমন্বয়করা বিষয়টি জানতে পেরে বিভিন্ন পর্যায়ে তদন্ত করে সঠিক তথ্য উদঘাটন করে মুন্সিবাগ এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী থানার ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুজ্জামান হৃদয় বলেন, আমাদের কাছে একটি ভূল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে ঐ ভূয়া সমন্বয়ককে আমরা ধরে নিয়ে আসি এবং তার মুখ থেকেই সত্য ঘটনা উদঘাটন করি। এখানে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারির কোনো দোষ নাই।