মঙ্গলবার (১৬ইজুলাই) বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিট এর আয়োজনে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী আন্দোলনের ইন্ধন ও উস্কানীদাতা এবং রাজপথে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী স্বাধীনতা বিরোধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে এক সমাবেশ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিচারক বলেছিলেন, ভাংচুর করবেন না সংঘর্ষ করবেন না। দেশের বিচার ব্যবস্থা নেত্রী হাতে নাই। আজকে এই আন্দোলনকারীদের মধ্যে কিছু জামাত-বিএনপি প্রবেশ করেছে। তারা দেশের মধ্যে নৈরাজ্য তৈরী করার চেষ্টা করছে। পরশুদিন জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দিলেন। একদল লোক দেশকে নস্যাৎ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলো। কিন্তু আমরা তো বসে থাকতে পারি না। বিষয়টা সর্বোচ্চ আদালতের একজন বিচারপতি বলেছেন এই বিষয়ে যে, কোন আন্দোলন করে লাভ নাই, আদালতের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু কিছু আন্দোলনকারী কোমল শিশুদের দিয়ে বলায় যে, তুমি কে আমি কে রাজাকার-রাজাকার। আজও সেই বিশৃঙ্খলা চলছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা বিচার ব্যবস্থা প্রতি আস্থা রাখেন, অপেক্ষা করেন। কিন্তু অপেক্ষা না করে রাষ্ট্রর প্রতি বিশৃঙ্খলা করবে, তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার বলে স্লোগান দিবে। এটা শুনে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ বসে থাকতে পারে না। আমি আমার দলের পক্ষ থেকে বলছি, আপনারা অরাজকতা করবেন না আন্দোলনের নামে। এটা উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই হবে। আপনার আমার সন্তানকে ভুল দিকে পরিচালিত করছে, যারা করছে ও দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড, নজরুল হুদার সভাপতিত্বে ও মুক্তিযুদ্ধার সন্তান ও বিশিষ্ট সাংবাদিক কলামিস্ট শরিফ উদ্দিন সবুজ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজান জুলহাস ভুইয়া, মোঃ আইয়ুব আলী,মহোর আলী চৌধুরী, শামসুজ্জামান ভাষানী, আব্দুল কাদির, শহিদুল ইসলাম, ও মুক্তিযুদ্ধাদের সন্তানরা। এছাড়াও সোনারগাঁও, রুপগন্জ, আড়াই হাজার, বন্দর, ফতুল্লা, সিদি্দরগন্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার মুক্তিযুদ্ধার বক্তব্য রাখেন আলোচনা সভায়।