নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বন্দরের মানুষ শান্তপ্রিয় এবং গণতন্ত্রমনা। তারা মিলেমিশে একসাথে বসবাস করতে চায়। কিন্তু গত ২৫ বছর ধরে ‘ফ্যাসিবাদী’ সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের দোসররা বন্দরের মানুষকে নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিএনপি কারো প্রভু হবে না, বরং তারা জনগণের সেবক ও কর্মী হিসেবে কাজ করবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা অন্তর্গত ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকেশ্বরী এলাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এড. সাখাওয়াত হোসেন খান আরও বলেন, “আমরা এখানে কোনো চাঁদাবাজকে প্রশ্রয় দেবো না। বিএনপির নাম ব্যবহার করে কেউ চাঁদাবাজি, জমি দখল বা মাদক ব্যবসা করলে তাদেরকে আমরা বিএনপিতে স্থান দেবো না।” তিনি উল্লেখ করেন যে, গত ৫ তারিখের পর কিছু লোক, যাদের বিএনপির সাথে পূর্বে সম্পৃক্ততা ছিল না, তারা কিছু অপকর্ম করেছে। তবে, এই দায়ভার বিএনপির নয়, কারণ বিএনপি সরকার ক্ষমতায় নেই এবং পুলিশও বিএনপির কথা শোনে না। তিনি আশ্বাস দেন যে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে এসব প্রতিরোধ করা হবে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই তারেক রহমান অপকর্মের সাথে জড়িত সাড়ে ছয় হাজার নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। “যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকত, তাহলে এই সাড়ে ছয় হাজার নেতাকর্মী কিন্তু জেলেও যেত,” তিনি বলেন। ভবিষ্যতে এই বন্দরে কোনো প্রকার অত্যাচারীকে স্থান দেওয়া হবে না এবং সবাই মিলেমিশে বন্দরবাসীর ভাগ্যের উন্নয়নে একসাথে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে বন্দর ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাফি উদ্দিন সোহেল প্রথনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক প্রধানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, বন্দর থানা বিএনপি সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামানসহ প্রমুখ।