সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে আদমপুর চৌরাস্তা দিয়ে উত্তরদিকে এই জামে মসজিদটি। এখানে প্রায় ৬শ পরিবার বসবাস করে। প্রতি জজুম্মার ননামাজের সময় এই মসজিদে মুসল্লীর সংখ্যা বেশি থাকে । এই গ্রামটিতে নতুন নতুন বাড়িঘর হওয়াতে মসজিদের মুসল্লী দিন দিন বেড়েই চলছে। এছাড়াও মসজিদের ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। মসজিদটিতে মাত্র একটি প্রবেশদ্বার। আর সেই প্রবেশদ্বারের মাঝ বরাবর বিদ্যুতের একটি খুটি রয়েছে। সেই খুঁটিতে হাটমিটার লাগানো আছে। মিটারটির ওয়্যারিং ঠিকমতো না থাকায় বিদ্যুৎপৃষ্টের ঝুঁকি রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বন্দর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিকট ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুটি সরাতে কয়েকদফায় মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও কোন গুরুত্বই দেয়নি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। একটি ধর্মীয় স্থানে পবিসের উদাসীন কার্যক্রম নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বায়তুন নুর জামে মমসজিদের ঈমাম ও খতিব মফতী মোসলে উদ্দিন কাশেমী বলেন, মসজিদের একটাই গেট তার সামনে বিদ্যুতের খুঁটি। আর কোথাও মনে হয় এমন দৃশ্য চোখে পড়বে না। নামাজ আদায় করে বের হওয়ার সময় মুসল্লীদের কষ্ট তো আছেই, পাশাপাশি বিদ্যুৎ ঘুটিটির কারনে নানা সমস্যা হচ্ছে। খুটিটি অন্যত্র সরালে সব সমস্যার সমাধান হয় আর ঝুঁকিও থাকেনা। একাধিকবার মসজিদের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ অফিসকে অবগত করেও কোন সমাধান হচ্ছে না।
পশ্চিম আদমপুর বায়তুল নুর জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক নুরুল হক প্রধান বলেন, মসজিদের গেট থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কোন উদ্যোগ নেয়নি। ওদের নিয়মের শেষ নাই। সামাজিক কারণ বিবেচনা করে সমস্যাটির খুব দ্রুত সমাধান করা উচিৎ।
এ বিষয়ে বন্দর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম আরিফুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে বৈদ্যুতিক খুটি অপসারনের জন্য আবেদন করেছে কিনা আমার জানা নেই। তবে আবেদন না দেখে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।