বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আলোচনা সভা ৩ অক্টোবর শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের টানবাজারস্থ পদ্মা সিটি প্লাজা-১ ৩য় তলায় টানবাজার অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, গণমানুষের নেতা, তারুণ্যের আইডল খন্দকার মোহাম্মদ মাহামুদুল হাসান আরমান।
সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট রেজাউল করিম খানের সভাপতিত্বে ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান শ্যামলের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সামিয়া ইসলাম নেভিনা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ সাহেব উল্ল্যাহ (রোমান), মোহাম্মদ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট পাভেল খান, আহমেদ গাজী মুসা, মোঃ মেজর মনির সিনিয়র, মোঃ কামরুল হাসান বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মুরাদ হোসেনসহ শিক্ষা এবং আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সহ সকল সম্পাদক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, একজন মানুষ সৎ পথে থেকে জীবিকা নির্বাহ করার পাশাপাশি সমাজের দুস্থ নিপীড়িত নির্যাতিত বঞ্চিত অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে এর ন্যায্য মানবাধিকার আদায় করা যায়। বিগত ২৭ বছর কাজ করে জেনেছি কিভাবে মানুষের পাশে থেকে জনসেবা করা যায়,স্বাস্থ্য খাত,শিক্ষা খাত থেকে মানুষের উপকার করা যায়। এভাবে প্রতিটা সদস্যই যেন মানবাধিকার আদায় করার জন্য সবাই উৎসুক থাকে বা প্রস্তুত থাকে। সমাজের স্বাবলম্বী মানুষ যেন প্রত্যেকেই মানবাধিকার কর্মী হয় এতে সমাজের বিশৃঙ্খলা গুলো ক্রমে ক্রমে হ্রাস পাবে এবং আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি অন্যায় ভাবে জোর জুলুম কেউ যেন কারো প্রতি করতে না পারে সেজন্য মানবাধিকার কর্মীদেরকে সজাগ থাকতে হবে এবং প্রশাসনের নজরে আনতে হবে। তিনি আরো বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কারো সাথে আপোষ করবেনা একমাত্র আল্লাহ ব্যতিত কারো কাছে মাথা নত না করে কাজ করতে হবে। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সামিয়া ইসলাম নেভিনা বলেন, সমাজের নেতৃত্ব দিবে তারাই যারা সৎ, মেধাবী, ন্যায়পরায়ণ, শিক্ষানুরাগী এবং বিবেক সম্পূর্ণ লোক। একটি সমাজকে আদর্শ হিসেবে তখনই গড়ে তোলা যায় যখন ত্রুটিমুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা থাকে বিশেষ করে তরুন এবং যুবসমাজকে দায়িত্বশীল নেতৃত্ব দেবার জন্য যোগ্য করে তোলার জন্য নিজেদেরকে সর্বদা প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। দুর্নীতির সাথে কখনোই আপোষ নয় এ ব্যাপারে সকল নাগরিকদেরকে সাজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। একজন মানুষ হিসেবে সৎ পথে থেকে কিভাবে সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে থাকা যায় এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখা যায় সে ব্যাপারে দৃষ্টান্তমূলক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন। তিনি একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে ঘর থেকেই শিক্ষা নিয়েছেন তার বাবা মরহুম কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম সিরাজ সাহেব সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-৪ তার শিক্ষক ছিলেন। তিনি তার বাবার কার্যকলাপে অনুপ্রাণিত হয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে। সমাজের কল্যাণে কিভাবে নিজেকে নিয়োজিত এবং মানব কল্যাণে কিভাবে কাজ করা যায় সেই বিষয়ে বিভিন্ন দৃষ্টান্তগুলো আলোকপাত করেছেন। মানবাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে উনি সারা জীবন নিজেকে নিয়োজিত করেছেন এই প্রতিশ্রুতিতে সকল মানুষকে মানব সেবা করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। সমাজের সকল শ্রেণীর পেশাজীবীদের,ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,আইনজীবী,শিক্ষক,ছাত্র এবং সৎ রাজনীতিবিদদেরকে নিয়ে একযোগে মানবাধিকার আদায়ের এবং ভিকটিমদের পাশে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা।