সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মিশনপাড়া মোড় এলাকায় মিশনপাড়া পঞ্চায়েত পরিষদের নবনির্মিত কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিষদের মহাসচিব আলহাজ্ব আবু জাফর আহমেদ বাবুল এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
উদ্বোধনকালে মহাসচিব আলহাজ্ব আবু জাফর আহমেদ বাবুল তার বক্তব্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামল এবং তার সাম্প্রতিক পরিণতি উল্লেখ করে বলেন, “শেখ হাসিনা একজন অত্যাচারী শাসক ছিলেন। গত ৫ আগস্ট তার যে করুণ পরিণতি হয়েছে, সেটা আপনারা দেখেছেন। সে এখন দেশে নেই, পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে। তাই আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।” তিনি আরও যোগ করেন যে, ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লব না হলে সেসময় দেশের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারতো।
তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্যই আমরা ৭৪-এর দুর্ভিক্ষ ও ৭৫ পর্যন্ত যে দুঃশাসন ছিল, সেটা উত্তরণ করতে পেরেছি।” জিয়াউর রহমানের মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “৮১ সালে শেখ হাসিনা ও এরশাদের যোগসাজশে জিয়াউর রহমান মৃত্যুবরণ করেন।”
মহাসচিব বাবুল বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে এরশাদের পতন নিয়েও কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি কখনোই খালেদা জিয়া বা বিএনপিকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তারেক রহমানের দীর্ঘদিনের নির্বাসিত জীবন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারেক রহমান সবকিছু ছেড়ে বছরের পর বছর বিদেশে থেকেছেন। এটা যে কত কষ্টকর বিষয়, যার সাথে এটা ঘটে তিনিই সেটা বোঝেন।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, “অতি শীঘ্রই আমাদের নেতা (তারেক রহমান) আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এবং যেসকল বিশৃঙ্খলা রয়েছে সেগুলো ঠিক করবেন।” তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে তিনি ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। আর এটা শুধুমাত্র তিনিই বাস্তবায়ন করতে পারবেন।”
বক্তব্য শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা এবং তারেক রহমানের সুস্থতাসহ মিশনপাড়া পঞ্চায়েত পরিষদের সদস্য ও সকল কবরবাসীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিশনপাড়া পঞ্চায়েত পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ, আল-আমিন, যুগ্ম মহাসচিব জাহিদ আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সচিব সায়েম কবীর, অর্থ সচিব আরিফ দিপু, দপ্তর সচিব জামাল উদ্দিন, ধর্ম বিষয়ক সচিব মোসাদ্দেক আহমেদ, প্রচার বিষয়ক সচিব প্রদীপ কুমার ধর চন্দন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সচিব অহিদুর রহমান আরিফ, সদস্য কাজী আব্দুস সাত্তার, নাসিম আল জাহিদ, আব্দুল হাই মিলন, ফজলুল হক প্রমুখ।