নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপি’র সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মাদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ১৭বছর শাসন আমলে এইদেশের মূল্যবান যতগুলো প্রতিষ্ঠান ছিল সেগুলোকে ধ্বংস করে গেছে। এদেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করে এই দেশটাকে ধ্বংস যজ্ঞের পরিণত করে দেশের বিপুল ক্ষতিসাধন করে গেছে। ৫ ই আগস্ট ২০২৪ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতন ঘটে এবং সে পালিয়ে যায়। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সোনারগাঁও থানার নোয়াগাও ইউনিয়নে জনসংযোগ ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ এবং সোনারগাঁও এক হওয়াতে দুই ভাইয়ের শক্তি এখন অনেক বেশি এবং শক্তিশালী। তিনি বলেন বাংলাদেশের মানুষ ধ্বংস অবস্থা থেকে এখন উন্নয়নের প্রত্যাশা করে। তারা যা কিছু ক্ষতি করেছে সেই ক্ষতিগুলাকে আবার নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে উন্নয়নের গতিধারায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষ প্রত্যাশা করে। মানুষের দুঃখ দুর্দশার অভাব যেগুলো আছে পূরণ করার প্রত্যাশা করে। দেশের সর্ব বৃহত্তম দল হচ্ছে বিএনপি এবং সর্ব জনপ্রিয় দল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বিএনপি।
তিনি আরো বলেন, আর সবচাইতে জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ,কর্মী ও সমর্থকরা সেই কারণে দেশের মানুষ আজকে আস্থাশীল বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে বিধ্বস্ত এ বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারবে। মানুষের মৌলিক অধিকার গুলিকে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা উন্নতি করতে পারবে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। সুষমা অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে নাগরিক জীবনের সমৃদ্ধ করতে পারবে। সেই জন্য অধিক আগ্রহে মানুষ অপেক্ষা করছে। কখন দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিন তিনবার এদেশের মানুষ ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের মানুষ তারা নির্বাচিত করতে পারে নাই। এখন মানুষ প্রত্যাশা করছে এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে অবাদ সুষ্ঠু এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। এবং সেখানে জনগণ গিয়ে তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করে তার যে ব্যক্তিকে পছন্দ সেই ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। এবং দেশ শাসন করার সুযোগ করে দিবেন।
বিএনপিকে কেন মানুষ ভালবাসে? কারন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করার পরে একটা আদর্শে বীজ বপন করে গেছেন। আদর্শটা হল মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম থাকবে। দেশ এবং দেশের উন্নয়নের রাজনৈতিক দল কাজ করবে। এই আদর্শের বীজ তিনি বোপন করে গেছেন। এই আদর্শের বৃক্ষ এখন ফুলে ফুলে সুসজ্জিত। কাউকে প্রশ্ন করলে সবাই বলবে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সে বিএনপির নেত্রী।
এরপর যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা কে পালন করেছে? সবচাইতে বেশি আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে কে সফলতা অর্জন করেছে? কে সবচাইতে বেশি এখন জনপ্রিয়? সবাই নিশ্চয়ই উত্তর দিবেন আমাদের বিএনপির চেয়ারপারসনের সুযোগ্য সন্তান আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। আমাদের বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস এই কারণেই বিএনপি এত সমৃদ্ধশালী।
বিএনপি যদি আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসে তাহলে শেখ হাসিনা সরকার যে ধ্বংস নীলা করে গেছে,অর্থ সম্পাদন লুণ্ঠন করে গেছে, সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে আবার গড়ে তোলা হবে। মানুষ যা প্রত্যাশা করে সেই প্রত্যাশা পুরনে বিএনপি কাজ করবে ইনশাল্লাহ। এই সোনারগাঁ থেকে বহুবার আপনারা বিএনপির মনোনীত প্রার্থীকে ভোটদিয়ে বিজয়ী করেছেন। এখান থেকে এমপি বানিয়েছেন, মন্ত্রী বানিয়েছেন।
সোনারগাঁর ইতিহাসিক ঐতিহ্যের সাথে বিএনপি’র একটি ঐতিহ্য সম্পৃক্ত হয়ে সোনারগাঁও সমৃদ্ধশালী করেছে।সোনারগাঁও সুনাম সুখ্যাতি আমাদের নারায়ণগঞ্জ পুরো জেলা বেপি। আমরা এতদিন নারায়ণগঞ্জ ৪ নির্বাচনী এলাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ ছিলাম।নতুন নির্বাচনী এলাকার ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে আমরা সোনারগাঁয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ইনশাল্লাহ সিদ্ধিরগঞ্জ এবং সোনারগাঁ এলাকা মিলে আমরা আগামী দিন সুন্দর ভাবে গড়ে তুলবো। উন্নয়নের অগ্রগতি দিয়ে আমরা জনগণের প্রত্যাশা পূরণের সচেষ্ট থাকব ইনশাল্লাহ।
সময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ-আলম মুকুল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সহ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশেনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মাদ সাদরিল আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।