নারায়ণগঞ্জে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের ওপর হামলাসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে দলটি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদারের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে দ্রুত যৌথ অভিযান পরিচালনা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী এই বৈঠকে এনসিপি নেতারা জেলার বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
বৈঠক শেষে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলার মুখ্য সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, “নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হচ্ছে। পরশুদিন রূপগঞ্জে একজন নিহত হয়েছেন। জুলাই যোদ্ধাদের বাসায় পর্যন্ত হামলা চালানো হয়েছে। আমরা পুলিশ সুপারের কাছে দ্রুত যৌথ অভিযান ও কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছি।”
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ও তাদের ফ্যাসিস্ট অংশ এখনও নানা ফরম্যাটে নারায়ণগঞ্জে সক্রিয় রয়েছে। তারা রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী পরিচয়ে পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।”
প্রশাসনের ভূমিকা স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “প্রশাসনের অবস্থান যদি স্পষ্ট না হয়, তাহলে রাজপথে নামা ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ থাকবে না।”
বৈঠকের ফলাফলের বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল আমিন জানান, পুলিশ সুপার তাদের বক্তব্য শুনেছেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক শওকত আলী, জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী আহমেদুর রহমান তনু, জেলা কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, আব্দুর রহমান গাফফারি, সোনিয়া আক্তার লুবনা, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব জাবেদ আলম, সদর থানার যুগ্ম সমন্বয়কারী তরিকুল ইসলাম রাকিব, রূপগঞ্জ থানার প্রধান সমন্বয়কারী মো. ইউসুফ হোসাইন এবং আড়াইহাজার থানার সমন্বয় কমিটির সদস্য আতাউর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।