প্রকল্পের আওতায় জেলার ৫টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তাদের এই ভাতা প্রদান করা হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো— ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট, ক্যাটারিং, বিউটিফিকেশন এবং বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও ই-কমার্স। এই ২৫০ জন নারী উদ্যোক্তার মাঝে সর্বমোট ২৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯০০ (চব্বিশ লক্ষ নিরানব্বই হাজার নয়শত) টাকার চেক বিতরণ করা হয়, যা তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করতে সহায়ক হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা প্রশিক্ষণার্থীদের উৎসাহিত করে বলেন, “মানুষ হিসেবে আমাদের কোনো সীমা নেই—আমরা লিমিটলেস। আমাদের একমাত্র সীমাবদ্ধতা হচ্ছে আমাদের ইচ্ছাশক্তি। তাই আমাদের ইচ্ছাশক্তি হতে হবে আকাশছোঁয়া। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণ ও সরকারি প্রণোদনা केवळ ব্যক্তি বিশেষের উন্নয়ন ঘটায় না, বরং সামগ্রিকভাবে সমাজ ও দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নারীরা তাদের দক্ষতা, মেধা ও সাহসিকতার পূর্ণ ব্যবহার করে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে তৃণমূল থেকেই একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।
এই চেক বিতরণ অনুষ্ঠানটি উপস্থিত নারী উদ্যোক্তা এবং আয়োজকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার সৃষ্টি করে। এটি নারীদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।