এদিকে পিতার রেখে যাওয়া নগদ কয়েক কোটি টাকার মধ্যে ছোট ভাই শরীফ অর্ধেক এবং বোন মেরী ভাগ পাওয়ার কথা থাকলেও সেই টাকা আত্মসাত করার উদ্দেশ্যে বড় ভাই মাসুদ তা বুজে দিচ্ছে না। শরীফ ও মেরী তাদের হিশ্যা বুজে পেতে বড় ভাই মাসুদ সহ তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা সহ বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করে বেড়াচ্ছে। শরীফের মানবতার জীবন যাপন স্থানীয় লোকজন ভাই-বোনের পাপ্য বুজিয়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে মাসুদ কোন কর্ণপাত করছে না। মাসুদ তার স্ত্রীর প্ররোচনা ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কুপরামর্শে কোন কিছুকে পরোয়া করছে না। তবে পিতার হিশ্যা বুজে পেতে শরীফ যেকোন সময় বিকল্প পথ বেছে নিতে পারে বলে শরীফের ঘনিষ্ঠ সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
এদিকে পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি সহ দুটি ইট ভাটার ব্যবসার মূল ধন সহ কয়েক বছরের লাভের অংশের টাকা ছোট ভাই-বোনকে বঞ্চিত করে মাসুদ আত্মসাতের অপচেষ্টা করছে। নগদ টাকার গরমে মাসুদ সমাজ ও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। মাসুদের এমন কর্মকান্ডের কারণে মাসুদকে ধিক্কার দিচ্ছে তাদের আত্মীয়স্বজন সহ এলাকাবাসী।
এদিকে শরীফ অভিযোগ করেন তাদের পিতার রেখে যাওয়া দুটি ইটভাটার মূলধন সহ লাভের অংশের টাকা এবং বাড়িতে থাকা সিন্ধুকের ভিতরে থাকা কয়েক লাখ টাকা কাউকে না জানিয়ে পিতার মৃত্যুর পর স্ত্রীর কথা মত সিন্ধুকের তালা খুলে সেই টাকাও হাতিয়ে নেয়। অথচ তার বড় ভাই ছাড়াও আরেক ভাই বোন থাকা সত্বেও সব কিছু একাই গ্রাস করে নেয়। পিতার রেখে যাওয়া টাকার ভাগ সকল ওয়ারিশরা সমান ভাগ পাওয়ার কথা রয়েছে।
শরীফের দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের রামনগর এলাকার হাফেজ আব্দুল হামিদ মিয়ার ২ ছেলে মাসুদ, শরীফ এক মেয়ে মুসলিমা আক্তার মেরীকে রেখে গত ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট মৃত্যু বরণ করেন। আব্দুল হামিদ মিয়া মৃত্যুরকালে ২ টি ইট ভাটা সহ নগদ টাকা পয়সা ও সম্পদ রেখে যায়। ইট ভাটার একটা ৫০% এবং আরেকটা ২৯% শেয়ার রয়েছে। হামিদ মিয়ার ইটভাটার ব্যবসার লাভের টাকা একাই ভোগ করছে বড় ছেলে মাসুদ। ব্যবসার লাভের টাকার ভাগ থেকে ছোট ছেলে শরীফ ও মেয়ে মেরীকে বঞ্চিত করে রেখেছে। পিতার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ হিসাবে সকল সন্তানরা সমান ভাগ পাওয়ার কথা থাকলেও মাসুদ একাই নগদ টাকা সহ কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাত করার পায়তারা চালাচ্ছে। পরে শরীফ তার বড় ভাই মাসুদের কাছে ব্যবসার আয়ের অংশ সহ সকল পাওনা সমান বন্টনের কথা বলার পর হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। এমনকি ব্যবসার লাভের অংশ দাবি করলে শরীফের শিশু সন্তান সহ গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়।
মাসুদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও সে কোন সাংবাদিকের সাথে কথা বলবে না মাসুদ এমনটাই তার ঘনিষ্ঠ লোকদের মাধ্যম বলে দেয়। তার সাথে ইটভাটায় গিয়ে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে ঐ স্থান থেকে সরে যায়।