মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে র্যাব-১১ এর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে র্যাব জানায়, মামলার বাদী একজন গার্মেন্টসকর্মী। তার দুই মেয়ে, যারা পূর্বে মহিলা মাদ্রাসার বোর্ডিংয়ে থেকে নাজেরা বিভাগে পড়াশোনা করত, বড় মেয়ের অসুস্থতার কারণে বাসায় ফিরে আসে। গত ১৮ মে, ২০২৫ তারিখে তিনি দুই মেয়েকে ভাড়া বাসায় রেখে কর্মস্থলে যান। ঐদিন দুপুর আনুমানিক ৩টার দিকে তার ছয় বছরের ছোট মেয়ে বাসার বাইরে খেলতে গেলে পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার মহিউদ্দিন আল মামুন ও কামরুজ্জামানের যৌথ মালিকানাধীন ভবনের দারোয়ান মাসুদ শিশুটির মুখ চেপে ধরে ভবনের গার্ডরুমে নিয়ে যায়। সেখানে মাসুদ শিশুটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্যান্ট খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ সময় শিশুটি ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে এবং ঘটনাটি মাকে বলে দেবে বললে আসামি মাসুদ তাকে গার্ডরুমে রেখেই পালিয়ে যায়। শিশুটিও তখন সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। পরবর্তীতে, গার্মেন্টস থেকে বাসায় ফিরে বাদী তার মেয়ের মুখে ঘটনার বিস্তারিত শুনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকেই র্যাব-১১, সদর কোম্পানী (আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ) এবং র্যাব-৪ (মিরপুর, ঢাকা) যৌথভাবে আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায়, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোররাতে ডিএমপি ঢাকার পল্লবী থানা এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মামলার একমাত্র আসামি মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মাসুদ কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার পাশাপুর গ্রামের মাওলানা আব্দুল মান্নানের ছেলে। সে বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাইনাদী নতুন মহল্লায় বসবাস করছিল।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।