প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “আমরা যে যে অবস্থানে আছি, সেই অবস্থান থেকে দেশটাকে যদি সবাই ভালোবাসি তাহলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব। আপনারা যারা আছেন তারা যদি নিজেদের অবস্থান সঠিক রাখেন তাহলে আগামী প্রজন্ম আপনাকে অনুসরণ করবে। আপনার কর্মই আপনাকে সবার মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “পরিবর্তন আমাদেরকেই করতে হবে। আমাদের রাষ্ট্রের যে সীমিত সম্পদ সেটা কাজে লাগাতে হবে। এ সম্পদ ও অর্থ যেন অপচয় বা অপব্যবহার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, কারণ এ অর্থ আপনার, আমার। শুধু যদি নিজেরটা ভাবি তাহলে হবে না, সকলকে নিয়ে ভাবতে হবে।” আত্মনির্ভরশীলতার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “অন্যরা আমাদেরকে দিকনির্দেশনা দেবে সেটা চাই না। আমাদের সমস্যা আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে। আমরা যে স্বপ্ন দেখি, সেটা আমাদেরকেই বাস্তবায়ন করতে হবে।”
কাজের মানোন্নয়ন ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, “কাজ করার সময় যে সমস্যাই আসুক, সেটা প্রতিহত করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কাজের গুণগত মান ঠিক রাখতে হবে। দায়িত্ব আমাদের সকলের, কারও একার দায়িত্ব না।”
পরিবেশ সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য প্রত্যেকের গাছ লাগানো উচিত।” মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আজকে আমরা মাদক নিয়ে শঙ্কিত, চারদিকে মাদকের ছড়াছড়ি। মাদকের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে হলে মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে।”
সবশেষে, একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নারায়ণগঞ্জ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “আমরা যে ভালো কাজগুলো করবো তাতে আপনারা পাশে থাকবেন। তাহলেই একটি গ্রিন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলতে পারবো।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন এবং অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হোসনে আরা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হোসেনসহ জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।