এ ঘটনায় ছোট ভাই মো: শরীফ হোসেন বাদী হয়ে বড় ভাই মাসুদ ও তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে শরীফ অভিযোগ করেন তার পিতার মৃত্যুর পর বাড়িতে থাকা সিন্ধুকে কয়েক লাখ টাকা থাকলেও ছোট ভাই বোনের অনুপস্থিতিতে বড় ভাই মাসুদ সিন্ধুক ভেঙে সেই টাকাও আত্মসাত করেছে। সেই টাকার বিষয়ে মুখ খুলছে না মাসুদ। টাকার হিশ্যা চাইতে গেলে নানা ধরনের তালবাহানা করতে থাকে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের রামনগর এলাকার হাফেজ আব্দুল হামিদ মিয়ার ২ ছেলে মাসুদ, শরীফ এক মেয়ে মুসলিমা আক্তার মেরীকে রেখে গত ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট মৃত্যু বরণ করেন। আব্দুল হামিদ মিয়া মৃত্যুরকালে ২ টি ইট ভাটা সহ নগদ টাকা পয়সা ও সম্পদ রেখে যায়। ইট ভাটার একটা ৫০% এবং আরেকটা ২৯% শেয়ার রয়েছে। হামিদ মিয়ার ইটভাটার ব্যবসার লাভের টাকা একাই ভোগ করছে বড় ছেলে মাসুদ। ব্যবসার লাভের টাকার ভাগ থেকে ছোট ছেলে শরীফ ও মেয়ে মেরীকে বঞ্চিত করে রেখেছে। পিতার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ হিসাবে সকল সন্তানরা সমান ভাগ পাওয়ার কথা থাকলেও মাসুদ একাই নগদ টাকা সহ কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাত করার পায়তারা চালাচ্ছে। পরে শরীফ তার বড় ভাই মাসুদের কাছে ব্যবসার আয়ের অংশ সহ সকল পাওনা সমান বন্টনের কথা বলার পর হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। এমনকি ব্যবসার লাভের অংশ দাবি করলে শরীফের শিশু সন্তান সহ গর্ভবতী স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই এর এসআই মনিরুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে এসেছি। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।