নারায়ণগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা-এর তত্ত্বাবধানে এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো: তারিকুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে র্যাব-১১, কাস্টমস, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ এবং আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে সহায়তা প্রদান করেন।
অভিযানকালে ফ্যাক্টরি থেকে প্রায় ২১ লক্ষ রি-ইউজড স্ট্যাম্প, বিপুল সংখ্যক নকল স্ট্যাম্প এবং ১৪,০০০ প্যাকেট (মোট ১ লক্ষ ৪০ হাজার শলাকা) অবৈধ সিগারেট জব্দ করা হয়। জব্দকৃত সকল অবৈধ সামগ্রী তাৎক্ষণিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
এই প্রতারণামূলক কার্যক্রম এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে রয়্যাল টোব্যাকো ফ্যাক্টরিকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসাথে, ফ্যাক্টরিটির ভ্যাট অফিসারকে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ২৬২ ধারা মোতাবেক ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
উদ্বেগজনক বিষয় হলো, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে ফ্যাক্টরিটি ২০২১ সাল থেকে অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তারা উৎপাদিত সিগারেটের প্রায় ৫০% ক্ষেত্রে আসল বা অরিজিনাল স্ট্যাম্প এবং বাকি ৫০% ক্ষেত্রে রি-ইউজড ও নকল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে বাজারে বিক্রি করত। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দৈনিক প্রায় ৬ লক্ষ টাকা, অর্থাৎ মাসিক প্রায় ২ কোটি টাকার সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২৩ সালে একই ধরনের অভিযোগে এই ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালানো হয়েছিল এবং প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাত্র সাত দিনের মাথায় তারা পুনরায় অবৈধ কার্যক্রম শুরু করে।
আজকের অভিযানের পর ফ্যাক্টরিটিকে আবারও সিলগালা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানানো হয়েছে, এ ধরনের অনিয়ম, প্রতারণা এবং রাজস্ব ফাঁকির বিরুদ্ধে তাদের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।