সমাবেশে জেলা আহ্বায়ক নিরব রায়হান বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারায়ণগঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। এ কারণে আমরা ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেছি এবং আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”
মহানগর শাখার আহ্বায়ক মাহফুজ খান বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সময় যারা হামলা চালিয়েছিল, তারা এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ আন্দোলনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। আইন ও বিচার ব্যবস্থায় এমন দ্বৈত নীতি গ্রহণযোগ্য নয়।”
কর্মসূচিতে জেলা আহ্বায়ক নিরব রায়হান, সদস্য সচিব জাবেদ আলম, মহানগরের আহ্বায়ক মাহফুজ খান, সদস্য সচিব হৃদয় ভূইয়াসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো:
১. জুলাই বিপ্লবে নারায়ণগঞ্জে সংঘটিত অস্ত্রধারী হামলা, খুনসহ সব অপরাধের আসামিদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার নিশ্চিত করা।
২. জুলাই বিপ্লবের মামলায় প্রকৃত আসামিদের জামিন বন্ধ করা, মুক্ত আসামিদের পুনরায় গ্রেপ্তার এবং পাল্টা হয়রানিমূলক মামলার নিষ্পত্তি করা।
৩. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে দলীয় প্রভাব বন্ধ এবং সদস্যদের অপসারণ করা।
৪. নারায়ণগঞ্জকে বিশেষ অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ জেলা ঘোষণা, নদী পুনরুদ্ধার, যানজট নিরসনে বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ এবং গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা।
৫. চাঁদাবাজি, মাফিয়াগিরি, দখলদারিত্ব বন্ধ এবং অবৈধ অস্ত্র ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা।
৬. জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এবং বিভিন্ন স্থাপনার নামকরণ করা।
৭. নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, সরকারি মেডিকেল কলেজ ও উন্মুক্ত পাঠাগার স্থাপন করা।
৮. রসুলপুরসহ পরিবেশ দূষণকারী বিভিন্ন মিল ও ইটভাটা অপসারণ করা।
৯. ভূমি অফিসসহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরে ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করা।