নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সিদ্ধিরগঞ্জের আরও দুটি হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর আদালতে এই আদেশ দেন। একইসাথে একটি মামলায় তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ, যার শুনানি পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রপক্ষ আইভীকে সিদ্ধিরগঞ্জের তুহিন হত্যা ও দুলাল হোসেন হত্যাচেষ্টা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
সাবেক মেয়র আইভীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন জানান, “সাবেক মেয়র আইভীকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। আজ আদালতে আইভীকে সিদ্ধিরগঞ্জে দুটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই সাথে আমরাও এ দুটি মামলাসহ আইভীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত আরও পাঁচটি মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্টের আর্জি করি।”
তিনি আরও বলেন, “সাবেক মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভিন্ন মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো না পর্যন্ত আমরা পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নিতে পারছি না। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিদ্ধিরগঞ্জের দুটি মামলায় আইভীকে শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন মঞ্জুর করেছে। পাশাপাশি অন্যান্য মামলাগুলোতে তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে বলে ইতিবাচক মতামত দিয়েছে।” শুনানিকালে ডা. আইভী কাশিমপুর কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইয়ুম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আইভীকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জের তুহিন হত্যা ও দুলাল হোসেন হত্যাচেষ্টা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর জন্য আবেদন করেছেন মামলা দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তা। এছাড়াও একটি মামলায় তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।”
এর আগে, গত ৯ মে ভোরে নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র আইভীকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিনারুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দিন কাদেরের আদালত আইভীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। গত ১২ মে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে আইভীর জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, আইভীকে গ্রেপ্তারে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।