গার্মেন্টস শ্রমিক সোহেলের উপর হামলার প্রতিবাদে পশ্চিম মাসদাইর এলাকাবাসীর ব্যানারে সোমবার (১২ মে) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বিসিক শিল্প নগরীকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত রাখার দাবি তুলে ধরে বলেন, যারা সহিংসতা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই এবং এই ধরনের হামলার প্রতিবাদে একত্রিত হয়েছি।
আহত সোহেলের স্ত্রী সিমু বেগম বলেন, আমার স্বামীকে নির্মমভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা আশা করি, দোষীদের দ্রুত শাস্তি হবে এবং ন্যায়বিচার পাব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি রোজিনা আক্তার, এনায়েতনগর ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সেক্রেটারি সাদেক দেওয়ান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জসিম প্রধান, সহ-সভাপতি মো. জিলানী ফকির, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল প্রধান এবং ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল সরকার প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে গত ৫ মে বিসিক শিল্পনগরী এলাকার ,এম এস ডাইং এর সামনে ছিনতাইকারী আখ্যা দিয়ে মাসদাইর এলাকার কৃষকদল নেতা হোটেল সুমনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সোহেলের পথরোধ করে নৃশংসভাবে হামলা চালায়। তারা তাকে মাথা ও পায়ে কুপিয়ে জখম করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন সোহেলকে প্রথমে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখান থেকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। আহত সোহেল (৪০) ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর এলাকায় ওয়াহিদ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং তিনি খুলনার বাগেরহাটের মৃত সোলেমান মিয়ার ছেলে।