ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে ছাত্র-জনতা কর্তৃক আয়োজিত চলমান আন্দোলনে সংহতি জানাতে গভীর রাতেই রাজপথে অংশগ্রহণ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সহকারী মহাসচিব সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারী জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারী জেনারেল ছাত্রনেতা শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কারীম আবরার সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ। তারা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অবস্থান নেন এবং একাত্মতা প্রকাশ করেন।
আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন,
“ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের অধিকার হরণ করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। দেশের ছাত্রসমাজ এবং সাধারণ জনগণ রাজপথে নেমে তাদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছে। এখন তাদের রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত ঘোষণার দাবিতে এই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের পাশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা একটি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র চাই, যেখানে সকলের অধিকার নিশ্চিত হবে।”
মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের বলেন, “দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার নেই, ভোটাধিকার নেই। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন জনগণের উপর অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমরা এই স্বৈরাচারী শাসনের অবসান চাই এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ লক্ষ্যে রাজপথে ছাত্র-জনতার পাশে থাকবে।”
নেতারা আরো বলেন, দেশের সকল ইসলামী ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনা এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, চলমান এই আন্দোলন সম্প্রতি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠন মিলিত হয়ে একত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিবে বলেও মনে করেন তারা।