নেতৃবৃন্দ বলেন- আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, দেশের স্বার্থে, ইসলামের স্বার্থে এবং নারীদের স্বার্থে এই কমিশন বাতিল করতে হবে। কারণ, দেশের মানুষের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এই কমিশন দাঁড়িয়েছে। তারা পরিবার ও সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা করছে। পাশ্চাত্য জীবন দর্শনে প্রভাবিত কমিশনের এসব সদস্যরা বাংলাদেশের নারীদের সর্বসাধারণের আদৌ প্রতিনিধিত্ব করেন না। এরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদের প্রস্তাবনাসমূহ মেনে নিলে তা হবে ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের অস্তিত্বের উপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত। কমিশনের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এই কমিশন বাতিল ঘোষণা দেওয়া পর্যন্ত সকলকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।সম্প্রতি ভারতে ওয়াক্ফ আইন সংস্কারের মাধ্যমে মুসলিমদের সম্পত্তি উচ্ছেদ ও বাজেয়াপ্ত করছে বিজেপি সরকার। কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর ফিলিস্তিনের গাজার মত গণহত্যা চালানোর জন্য বিজেপি নেতারা উস্কানি দিচ্ছে। আমরা ভারতীয় মুসলমানদের উপর উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদের সকল আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাই। ভারত সরকারকে তার নিজ দেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানাই। বাদ জুমা খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগর আয়োজিত ইসলাম বিদ্বেষী নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে খেলাফত মজলিসের মহানগর সভাপতি হাফেজ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে ও মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- খেলাফত মজলিসের মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ফতুল্লা থানা সভাপতি কামরুল হাসান পায়েল, সদর থানা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাফেজ আওলাদ, ফতুল্লা থানা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ মাহমুদ, ইসলামী যুব মজলিসের মহানগর সভাপতি ডাঃ মোতাহার হুসাইন, ইসলামী ছাত্র মজলিসের মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ, প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ডিআইটি মসজিদের সামনে এসে সমাপ্ত হয়।