হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তী এ সময়ে ব্যাপক সংস্কারের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিগত বছরে সংস্কারের আওয়াজ উঠেনি। রাষ্ট্রকে সংস্কারের কথা কেউ বলেনি। জুলাই বিপ্লবে দুই সহস্রের বেশি তাজা প্রাণের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ হল সংবিধানসহ বিভিন্ন সংস্কার কাজ পরিচালনা করা।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রধান বক্তার বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের সাংগঠনিক কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। তিন তারিখে আমরা সকলে সেই মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে মহাসমাবেশ সফল করবো।
আজকের এই সমাবেশে বর্ষীয়ান নেতা ও আমাদের মুরুব্বি আব্দুল আউয়াল (কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর) সাহেবের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। ইনশাআল্লাহ তিন তারিখের মহাসমাবেশে নারায়ণগঞ্জ থেকে সকল মতবিরোধের ঊর্ধ্বে উঠে এক মহা মিছিল নারায়ণগঞ্জ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা করবে।
মামুনুল হক বলেন, আমরা চিন্তাও করতে পারছি না আগষ্ট বিপ্লবের পর কোরআনকে কটাক্ষ করা এই প্রস্তাব উপস্থাপন করা হতে পারে। এই জঘন্য কমিশন বলেছে বাংলাদেশে বিদ্যমান উত্তরাধিকার আইন বৈষম্যমূলক। কুরআনে বিশ্বাসী মুসলমানদের বলতে চাই আপনারা কী বিশ্বাস করেন কীনা কুরআন ইনসাফ কায়েমের জন্য নাজিল করা হয়েছে? তা যদি হয়ে থাকে তাহলে এমন ধৃষ্টতা আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত নই।
তিনি আরো বলেন, তারা নাকি কুরআনের এই বিধানকে উৎখাত করার অঙ্গিকার করেছেন। এরপরেও ইউনুস সাহেবের বিরুদ্ধে কড়া কথা বললে অনেকের কষ্ট লাগে। আমরা ইউনুস সাহেবকে অনেক সম্মান দিয়েছি। আমাদের পরিষ্কার কথা। আল্লাহর কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাদের সাথেও শেখ হাসিনার মত আচরণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হুসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহ মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি, এইড ফোর মেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি ওবায়দুল কাদের নদভী।
গণজমায়েতে সঞ্চালনা করেন জেলা সহ সভাপতি মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান ও মহানগরের সভাপতি মুফতি হারুনুর রশিদ।