নারায়ণগন্জে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পুর্ন হলো জেলা ও মহানগর পূজা উৎযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, করোনা গেলো- অনেক জ্ঞানী-গুনি সুশীলরা বললো, বাংলাদেশের ১০ লাখ লোক রাস্তায় পড়ে মরে থাকবে। কিন্তু আমরা দেখলাম বাংলাদেশের ১০ লাখ লোক মারা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষ কে বিনা পয়সায় টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। টিকা প্রদানে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থান করেছে বাংলাদেশ। মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছেন, শ্রমিকদের ঘরে ঘরে বেতন পৌঁছে দিয়েছেন।
শুক্রবার(২৩শে জুন) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নারায়ন্গন্জ জেলা ও মহানগর পূজা উৎযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।
শামীম ওসমান বলেন, ছোট একটি দেশ, বাংলাদেশ। ১৮ কোটি মানুষের দেশ। আজকে বাংলাদেশকে উনি কোথায় থেকে কোথায় নিয়ে গেছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় বাংলাদেশকে টাকা দেয়নি বিশ্ব ব্যাংক কিন্তু নিজের অর্থে সে সেতু আজ হয়েছে। সারাবিশ্ব আজকে বুঝতে পেরেছে, বাংলাদেশ কারো পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়ায়নি। বাংলাদেশ তাঁর নিজের পায়ের উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। করোনা ভাইরাস ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে কিছুটা পিছিয়েছে, নাহলে এতদিনে জিডিপি ১০ শতাংশে নিয়ে দাঁড় করাতেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে দর্শক সারিতে বসা ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, পেট আর পিঠ লেগে থাকা কিছু মানুষ আগে বাংলাদেশের রাস্তার পাশে দেখা যেতো। শরীরের হাড্ডি গুলো ভেসে থাকতো। সেই মানুষ গুলোর ছবি তুলে বিদেশীদের দেখাতো ওরা। এরপর বিদেশ থেকে টাকা এনে সেই টাকায় মাদক পান করতো। এখন শেখ হাসিনার আমলে সেই হাড্ডিওয়ালা মানুষ দেখা যায় না। তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে। উল্টো তিনি অন্যদেশকে বিপদে পড়লে সহযোগীতা করছে। এই কারণেই এক শ্রেণির মানুষ শেখ হাসিনার প্রতি রাগে আছে। এটাই তার অপরাধ। আপনারাই বলুন, কত বড় সাহস এই মহিলার? উনাকে হত্যা করা উচিৎ। ২১ আগষ্টে মরে নাই, আবার মারা উচিৎ। কারণ তিনি সাহস করে এই দেশটাকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত করছে। মানুষকে প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতা দিয়েছেন।
শামীম ওসমান বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছি। ভারতের একটা বিশাল বর্ডার আমাদের সাথে আছে, এক শ্রেণির মানুষ আছে বিপদে পড়লে জমি বিক্রি করে খায়, এদেশের কিছু মানুষ অভাবে পড়লে দেশ বিক্রি করে খায়। তারা চেষ্টা করছে এই দেশটাকে আরেকবার এমন একটি জায়গায় নিয়ে যেতে। বাংলাদেশ যদি অস্থিতিশীল হয়ে যায়, এখানে কেউ কেউ ব্যাজ করে ২ টা জায়গাকে কন্টল করতে পারে। আগামী জুলাই মাস থেকে হয়তো দেশটাকে তারা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে।
এসময় দ্বী- বার্ষিক সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক, সহ-সভাপতি ডি এন চ্যাটার্জী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্টস এসোসিয়েশন ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা। দ্বী- বার্ষিক সম্মেলনে নব- নির্বাচিত সভাপতি শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন, মহানগরের সভাপতি বিষ্নপদ সাহা, সাধারন সম্পাদক শুশিল দাস।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যাপসায়ী সোরজ সাহ,, লিটন সাহা, লিটন পাল, সাংবাদীক দিলিপ কুমার সাহা, শংকর কুমার দে, আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল হোসেন, এস এম,আরমান সহ প্রমুখ।