নারায়ষগঞ্জের বন্দর উপজেলার ২৫নং ওয়ার্ডের বালুর মাঠ গরুর হাটের ইজারা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২০জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৮ম তলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বন্দর উপজেলার ২৫নং ওয়ার্ড এলাকায় গরুর হাট ইজারা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন তার নেতৃত্বে একটি সংঘ্যবদ্ধ গ্রুপ তৈরি করে আসছিল। ২৫নং ওয়ার্ডের লক্ষনখোলা বালুর মাঠের অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা পাওয়ার জন্য দুপুর থেকেই কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন তার গ্রুপের লোকজন নাসিক ভবনে জড়ো করেন। এক পর্য়ায়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় পশুর হাটের ইজারার দাখিলকৃত সর্বোচ্চ মূল্য ২৫ লক্ষ টাকায় হাটের ইজারা পেয়ে যান বেসরকারী টেলিভিশন ”মাই টিভির” জেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন। হাটের ইজারা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন। প্রকাশ্যেই তখন হুমকি ধমকি দিতে থাকেন আব্দুল্লাহ আল মামুনকে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমি ২৫নং ওয়ার্ডের লক্ষন খোলা বালুর মাঠের ইজারা দাখিল করেছি এবং ২৫ লক্ষ টাকায় সর্বোচ্চ মূল্যের দরদাতা হিসেবে হাটের অস্থায়ী ইজারা পেয়েছি। বিকাল অনুমান সাড়ে ৪টায় নাসিক ভবনের ৮ম তলায় ইজারা ঘোষনার সময় আমার নাম আসলে প্রকাশ্যে কাউন্সিলর এনায়েত আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে কাউন্সিলরের ইশারায় হাট ইজারা অফিস কক্ষেই আমার আত্বীয় হালিম সাউদকে বাদল নামের সন্ত্রাসী চর থাপ্পর মারেন। ভবন থেকে যাওয়ার সময় কাউন্সিলর এনায়েতসহ তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা আমাকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে যে কোন মূল্যে হাট পরিচালনা করতে দিবেন না বলে যান। এ ব্যাপারে প্রান নাশের হুমকির ঘটনায় আমি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় বন্দর লক্ষন খোলা এলাকার সাত্তার হাজীর দুই ছেলে এনায়েত হোসেন ও হেলাল হাজী, সামাদের ছেলে আয়নাল,মৃত সানোয়ারের ছেলে বাদলসহ আরও অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) দ্বীপক রায় জানান, গরুর হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮ম তলায় দ্বন্ধের জের ধরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফোর্সসহ উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।