এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এখন দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করছেন।পাশাপাশি মনোয়নয়নপ্রত্যাশী ও তাদের সমর্থকরা যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশার হিড়িক পড়েছে আওয়ামী লীগে। বিএনপির মধ্যে এমনটা দেখা যায়নি এখনো।বলতে গেলে বিএনপি এ আসনে এখনো নীরব রয়েছেন।
সূত্র জানায়, গত দুই ট্রাম সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়নি। ২০১৪ ও ২০১৮ এর নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমানে এ আসনটির এমপি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। ভাগ্যের জোরে লিয়াকত হোসেন খোকা এখন ‘ডাবল’ এমপি।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। তারা সবাই মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতোমধ্যে অনেকেই বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন টাঙিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা জানাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ থেকে যারা মনোনয়ন চাইবেন তারা হলেন এ আসনটির সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাত, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল ভূইয়া, সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধূরি বিরু, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা মাহফুজুর রহমান কালাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এ এইচ এম মাসুদ দুলাল ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এরফান হোসেন দীপ।
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার ৮৩৭ জন।আর একটু বেশিও হতে পারে। সাধারণ ভোটরার বলছেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় এ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শেষ হাসি ঠিক কে হাসতে পারেন, সেটি বলা এখন মুশকিল।