রবিবার (১৭ই নভেম্বর) নগরীর ডিআইটি চত্তরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল নেতা কে এম মাজহারুল ইসলাম জোসেফ‘র সভাপতিত্বে ও জুয়েল প্রধান,আমির হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বয়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ মোঃ রেজা রিপন, সদস্য মাকিদ মোস্তাকিন শিপলু, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমূখ ।
এ্যাড. টিপু আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে সিপাহি ও জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শহীদ জিয়াউর রহমানকে কারামুক্ত করে বাংলাদেশকে শাসনের দায়িত্ব তার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সেদিন বাংলাদেশের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। ১৯৭৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত করতে এবং ১৯ দফা কর্মসূচী বাস্তবায়নে শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শহীদ জিয়াউর রহমান হলেন একটি বিপ্লব, একটি ইতিহাস। শহীদ জিয়াউর স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে এই স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। আজ নির্ভয়ে বক্তব্য দিতে পারতাম না। বাংলাদেশের আধিপত্যবাদের শক্তি বার বার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এখনও আমাদের যুদ্ধ শেষ হয় নাই।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে থাকতে হবে। আমরা অতীতে রাজপথে ছিলাম, এখন আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। নারায়ণগঞ্জে যারা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতৃত্বে আছেন, তারা কোন গডফাদারের দালালি করবেন না। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির সাথে আতাত করবেন না। বিগত দিনে যারা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির সাথে আতাত করেছেন তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আজকে লোক দিয়ে মিছিল করান। সেই দিন আপনারা কোথায় ছিলেন, কেন এপার থেকে ওপারে পলায়ন করেছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে চাই। কিন্তু কোন দালালদের সাথে ঐক্য নয়।