রবিবার (১০ই নভেম্বর) দুপুরে নগরীর প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্হান কর্মসূটি পালন করে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মন্ডলপাড়া যেয়ে শেষ করে।
এসময় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু,রুগ্ন আহবায়ক মনির হোসেন খান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড,এইচ এম আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম সজল সহ প্রমূখ।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমাদের এখন প্রতিরোধ করার সময় এসেছে। ৫ই আগস্ট যে বিপ্লবের মাধ্যমে সরকারের পতন হয়েছে সেখানে সাতাশজন শহীদ হয়েছে। রক্তের বিনিময় গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা রেখেই বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের কোন কর্মীর সাথে সামান্য খারাপ আচরণও করেনি।
আমাদের সেই ভদ্রতাকে তারা দুর্বলতা ভেবে নিয়ে আজ এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা হুমকি দিচ্ছে তারা এই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করতে চায়। কোন পলাতক নেত্রীর কথায় দেশের মানুষ কান দেবে না। এতদিন গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে জনগণ আপনাদের সাথে ভালো আচরণ করেছে কিন্তু আজকে আপনাদের আচরণীয় বলে দেবে আগামীতে আপনাদের সাথে জনগণের আচরণ কেমন হবে।
এসময় তিনি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ৫ই আগস্টে পর তিন মাস হল কিন্তু পাঁচজন আওয়ামী লীগের কর্মী সই থেকেও রক্ত ঝরেনি। কিছু লোক আছে সুখে থাকতে ভূতে কিলায়। আওয়ামী লীগের উপর যেই স্ট্রিম রোলার চালানোর কথা ছিল সেটা চালায়নি বলেই তারা আজ বেশি বেড়ে গেছে। আপনারা যদি এমন কোন কিছু চেষ্টা করেন আপনাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। শেখ হাসিনারসহ বাংলার মাটিতে হাসিনার যত দোষর আছে সবাইকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েমের ক্ষেত্রে একমাত্র আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরাই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এই জাতির দেশের শত্রু তাদের মেনে নেওয়া যায় না। আসুন আমরা সবাই এদেরকে প্রতিরোধ করি ।