শনিবার (২রা নভেম্বর) ফতুল্লা এনায়েত নগর ইউনিয়নে ধর্মগঞ্জ চৎলারমাঠ এলাকায়, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, মাদক-চাদাবাজী-সন্ত্রাস রোধে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আমাদের করণীয় কি? দেশের সর্ববৃহৎ ও জনপ্রিয়দল হলো বিএনপি। এখন আমরা জনগণের কল্যাণে ও উন্নয়ণে কাজ করবো। কিভাবে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে আমরা আবার উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাবো। এটাই হলো আমাদের বিএনপির সব থেকে বড় কাজ। ফ্যাসিস্ট সরকার এই দেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসন যন্ত্রকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করে, এসব সংস্থাগুলোকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে গেছে। ১টি সংস্থার বিষয়ে আপনাদের বলতে চাই। যারা জনগণের চাকর জনগণের অর্থে লালিত পালিত। যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখবে, জানমালের নিরাপত্তার বিধান রাখবে, সেই পুলিশ বাহিনীকে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের বাহিনী বানিয়ে নিরস্ত্র জনগণের উপর স্টিমরোলার চালিয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামে কত মানুষের প্রাণ নিয়েছে, কিভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে, এমনি নারী পুরুষও গণহত্যা থেকে রেহায় পাইনি। সেই পুলিশ বাহীনির মনে ধীরতা আজকে ভেঙ্গে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে থানা গুলোতে গেলে মানুষ সেবা পায়না। যারা পরাজিত হয়েছে তারা এই সুযোগটা নেয়ার চেষ্টা করছে। যারা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করেছে সেগুলো আজকে খরচ করে চেষ্টা করছে, যাতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের আইন শৃঙ্খলা সবচেয়ে অবনতী থাকতে পারে। যাতে মানুষ নিরাপত্তাহীন হয়ে যায়। মানুষ যাতে বলে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাই তো ভালো ছিলো। এটা প্রমাণ করার জন্য তারা আজকে ষড়যন্ত্র করছে। এই জন্য আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো দেশের আইন শৃঙ্খলা ঠিক করা। আইনশৃঙ্খলা এখন শুধু পুলিশ-র্যাব দিয়ে করানো সম্ভব না। কারণ তারা জনগণের বিপক্ষে গিয়ে সরকারের চাটুকারীতা করে তারা তাদের মনোবল হারিয়ে ফেলেছে। পুলিশ জনগণের সাথে লড়াই করে পরাজিত হয়েছে। আজকে এই পরাজিত শক্তির শক্তি নাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একা নিয়ন্ত্রণ করা।
গিয়াস বলেন, এই যে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান আমাদের বিএনপি নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন এই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে যাতে আমরা সাহায্য সহযোগীতা করি। যাতে ষড়যন্ত্রকারীরা কোন ভাবে ব্যর্থ না করতে পারে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে। জনগণের মুখ দিয়ে যাতে বের না করতে পারে যে, স্বৈরাচারী সরকার ভালো ছিলো। তাই আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে সহযোগীতা করতে চাই। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকের সময় যাতে আইনশৃঙ্খলা উন্নতি হয়। আমরাও চেষ্টা করবো আপনারাও চেষ্টা করবেন, যাতে সবাই মিলে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা ঠিক থাকে।