শুক্রবার (১লা নভেম্বর) বিকেলে নগরীর ডিআইটি চত্ত্বরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর গনঅধিকার পরিষদ কতৃক আয়োজিত গনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমরা চাইনা আওয়ামী লীগের মতো কেউ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করুক। কিছু রাজনৈতিক দলের বাড়াবাড়ি কর্মকান্ডে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে তাতে সবাই দেখতে চায় নতুন নেতৃত্ব, নতুন রাজনৈতিক চুক্তি। পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেকে রাজনীতি থেকে বিমুখ হয়েছেন। তাদের বলবো, এখন সময় হয়েছে দেশ গড়ার। দেশের প্রয়োজনে জাতির প্রয়োজনে ভবিষ্যতের প্রজন্মকে রক্ষায়, নতুন ধারার রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা যে পরিবর্তন পেয়েছি, সে নতুন বাংলাদেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে তারুণ্যের দল গণঅধিকার পরিষদ কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণধিকার পরিষদ সহ অন্যান্য বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন আছে দেশে। গত ১৫ বছরে কোন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে নাই। ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য যে লড়াইয়ের দরকার ছিল তা তারা গড়ে তুলতে পারেননি। আমরা দেখেছি, রাজনৈতিক দলগুলোকে টোপ দিয়ে বিভক্ত করে রাখা হয়েছিল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি সহ ৪২ টি রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার অবসানের জন্য এক দফা দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। তখন অনেক দলকে আহ্বান করা হয়েছিল। এক দফার দাবিতে তারা রাজপথে নামেন নাই। শেখ হাসিনার সাথে সমঝোতা করে ফ্যাসিবাদী সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য তারা কাজ করেছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে গণধিকার পরিষদ‘র সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, এক সময় নারায়ণগঞ্জে এসে গণধিকারের পক্ষ থেকে কোন সমাবেশ করতে পারি নাই। যারা আমাদের কন্ঠকে রুখে দিয়েছিল, যারা আমাদের উপর নিপীড়ন নির্যাতন করতো, যারা মানুষকে ভয় দেখাতো, যারা হত্যা গুম খুনের রাজনীতি এই নারায়ণগঞ্জের প্রতিষ্ঠা করেছিল, সেই সকল খেলোয়াররা আজকে বোরকা পরে পালিয়ে গিয়েছে। এইখানে শামীম ওসমান সব সময় বলতো খেলা হবে, খেলা হবে। কিন্তু তারা নিজেরাই খেলার আগে উধাও হয়ে গেছে। যারা হত্যা গুম খুনের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিল, যারা কিশোরদের হত্যা করেছিল এই ওসমান পরিবারকে নারায়ণগঞ্জবাসী বিতাড়িত করেছে। আমাদের এখন সময় হয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার করার। রাষ্ট্রকে নতুন করে বিনির্মাণ করতে হবে। গণধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ কে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। এই নারায়ণগঞ্জ জেলাকে গণধিকার পরিষদের ঘাঁটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, ঐতিহাসিকভাবে এই নারায়ণগঞ্জের একটি গুরুত্ব রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেই ব্রিটিশ আমল থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভূমিকা রেখেছে। এই নারায়ণগঞ্জে সাত খুন, মেধাবী ছাত্রত্ব কি হত্যাকাণ্ডের মতো ঘৃণ্য ঘটনা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বাহিনীরা যে ত্রাস কায়েম করেছিল, সেটা পেরিয়ে আজকে নারায়ণগঞ্জের মানুষ গণধিকার পরিষদের সমাবেশে সভায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আজকে জনতার জোয়ার তৈরি হয়েছে। গণধিকার পরিষদের নেতৃত্বে, নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে আগামী দিনের সুন্দর দেশ গঠন করতে চাই।
গণঅধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ বলেন, নারায়ণগঞ্জে সুশীল ও স্বচ্ছ
রাজনীতি চাই। আমরা নারায়ণগঞ্জে খেলা হবে রাজনীতি চাই না। আমরা এই নারায়ণগঞ্জে খেলা হবে রাজনীতি করতে দেবো না। এই নারায়ণগঞ্জে কোন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী ও দখলদারের জায়গা হবে না। আমরা গণআধিকার পরিষদ সবসময় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমাদের কোন অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ রাজপথ থেকে তৈরি। জনগণের সেবায় আমরা রাজপথেই থাকবো৯।