সাক্ষ্য প্রদানকারী হাবিব উদ্দিন এই মামলার ৬ নম্বর সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাব্বির আলম হত্যা মামলায় আজ একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি মামলার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি সাব্বির আলম খন্দকার হত্যার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। আততায়ীরা সাব্বির আলমকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে ওই সাক্ষী জানিয়েছেন। তবে হত্যাকাণ্ডের সময় জাকির খান সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বলে আদালতে তিনি জানিয়েছেন। এমনকি জাকির খানকে তিনি চিনেনা বলেও জানিয়েছেন। তাই জাকির খানকে এই মামলায় আসামি হিসেবে তিনি মানেনা বলে জানিয়েছেন। সুতরাং মামলার বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলায় ৫২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ জাকির খানের বিরুদ্ধে জোরালো কোন সাক্ষী দিতে পারেনি। অত্র মামলাটি আগামী ২৪শে জুন শুনানীর তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে।’
এদিকে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে জাকির খানকে হাজির করা হয়। আদালতে জাকির খানকে হাজির করার খবরে তার শত শত কর্মীসমর্থকরা আদালত পাড়ায় ভিড় জমায়। এ সময় তার মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়। দুপুরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের শুরুর দিকে অপারেশন ক্লিনহার্ট চলাকালীন একটি অনুষ্ঠানে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতিতে সাব্বির আলম খন্দকার নিজের জানাজায় সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। ওই বক্তব্য দেওয়ার কয়েকদিন পর ১৮ ফেব্রুয়ারি শহরের মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে আততায়ীদের গুলিতে তিনি নিহত হন। এরপর ওই দিনই নিহতের বড় ভাই ও তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন।