নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ১০নং ওয়ার্ডে অবস্থিত লক্ষ্মী নারায়ণ কটন মিল উচ্চ বিদ্যালয়ের জসিম আলম মেহেদী(৩১) নামে এক শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে হামলা কারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে। বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিদ্যালয়ের সমনে এ মানববন্ধন ও কর্মসূচি পালন করেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে কয়েকজন শিক্ষক সহ স্থানীয় কাউন্সিলর বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনের শিক্ষকরা জানয়,
গত (২৪ এপ্রিল) বুধবার আনুমানিক সকাল ৯টার সময় স্কুলের বাইরে একটি রুমে ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর সময় ৭-৮ জন বাচ্চা ঐরুমে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেতে থাকলে যা ছয় থেকে সাত বার। তখন গণিত শিক্ষক জসিম আল মেহেদী(৩১) বাচ্চাদের ডেকে জিজ্ঞেস করার সময়। প্রাপ্ত বয়সক ৭-৮ জন এসে তাকে এলো পাথালিভাবে কিল ঘুষি মেরে নীলা ফুল জখম করে ।
ওই সময় স্কুলের পাশে এক দোকানদার ও আশেপাশের কয়েকজন এসে শিক্ষককে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৫জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যায়।
উল্লেখিত আসামিরা হলেন সেলিম পিতা আব্দুর রব, নেওয়াজ, শাহাদাত, আখতার হোসেন ও সেলিম সর্বপিতা মৃত মহব্বত আলী (মোবা)। সবাই গোদনাইল রসুলবাগ এলাকার বাসিন্দা।
কর্মসূচিতে বক্তব্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র দাস বলেন, বাচ্চারা ঢিল ছেরেছে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে গেলে কয়েকজন মিলে সন্ত্রাসী কাদায় আমার স্কুলের গনিত বিভাগের শিক্ষককে পেটালো। একজন শিক্ষক এভাবে মারধরের শিকার হলেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা সেই সঙ্গে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন বলেন,
আমরা ব্যথিত দুঃখিত যদি আমাদের স্কুলেই এই অবস্থা হয় তাহলে অন্য স্কুলে কি অবস্থা হবে। আমি প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি জানাই। আমি জানি সিদ্ধিরগঞ্জ এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খুব বিচক্ষণ। আমি জোরালো ভাবে তাকে অনুরোধ করব।
আমাদের এই ঘটনাটা আপনি সিরিয়াস ভাবে দেখেন। যদি সিরিয়াস ভাবে না দেখেন। তদন্তের মাধ্যমে একটা সুস্থ সমাধান করবেন।
আমি বলতে চাই এই ওয়ার্ডে কোন শিক্ষকের গায়ে যদি কেউ কোন আচর কেন কুদৃষ্টিতে তাকায় তার কি পরিনতি বিচার হবে তা আপনারা ভবিষ্যতে দেখতে পারবেন। আর আমার শিক্ষকরা যদি আপনাদের কোন কিছু করে আমি আশা করি আপনারা সম্মানিত প্রধান শিক্ষকের কাছে বলবেন। তখন তার প্রশাসনিক অনুযায়ী সে ব্যবস্থা নেবে।
যে শিক্ষকরা এখানে কষ্ট করে এসেছেন আমি সবার কাছে দুই হাত জোড়ে করে অনুরোধ করছি। আমি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে আপনাদের আমি সঠিক নিরাপত্তা দিতে পারলাম না বিদায় আমাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দেবেন।
আপনাদের যেকোনো সময় আপনাদের পাশে থাকতে বাধ্য। এই দাবদহ গরমে কঠিন সময়ে যেখানে আমাদের ঘরে থাকার কথা মৃত্যুর ভয় না করে শিক্ষকরা এখানে এসেছেন।আপনারা যার যার বাসায় চলে যান। এমপি মহোদয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। আপনারা এখানে দাড়িয়ে আর আমাদের লজ্জা দিবেননা।
ইনশাল্লাহ আমি কথা দিলাম মাননিয় সংসদ সদস্যের সাথে আলাপ করে সুস্ত তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার করবো।