নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের সদস্য ও লাখো জনতার প্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের আজ ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে ১৯৮৮৪, ১৯৮৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।
প্রয়াত নাসিম ওসমান নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের প্রয়াত ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন, সাবেক এম এল এ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহোচর ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার অন্যতম ব্যক্তিত্ব মরহুম এ কে এম শামসুজ্জোহা ও প্রয়াত ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহার বড় ছেলে, সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে সব থেকে বেশি মেয়াদে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য নাসিম ওসমানকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। দিল্লিতে চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি দেরাদুন যান। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থানকালে আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি ৩০ এপ্রিল রাতে ২০১৪ সালে মারা যান।
নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর সংসদে বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নাসিম ওসমানের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ওসমান পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটা নিবিড় সম্পর্ক ছিল। ওই পরিবারে বসেই জন্ম হয়েছিল আওয়ামী লীগের। শামীম ওসমানের দাদা খান সাহেব ওসমান আলী এবং বাবা শামছুজ্জোহা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত কাছের মানুষ। নাসিম ওসমান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে একটি যুব ব্রিগেড গড়ে তুলেছিলেন। পরে জাতীয় পার্টি করলেও তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ওসমান পরিবারের অবদানের কথা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি তাদের প্রয়োজন হয় দেখাশোনা করব।
জীবদ্দশায় নাসিম ওসমান শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। সেতু নির্মাণের শেষ দিকেই এ সেতুর নামকরণ করা হয় ‘নাসিম ওসমান সেতু ”।নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে ছিল জাতীয় পার্টির কার্যালয়। সেখানে নিয়মিত নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিয় ও তাদের কুশলাদি খোজ খবর নিতে সেখানে বসতেন নাসিম ওসমান।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে দোয়া ও দ্বূীন ব্যাপী নানা কর্মসূচী গ্রহন করেছে এবং দলীয়ভাবে বন্দরে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।