মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আল্লাহপাক তার প্রিয় হাবিব কে সমস্ত সৃষ্টির রহমত হিসেবে প্রেরন করেছেন –সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী  আমাদের জেন্ডার ইস্যু বায়ারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ –  সফিকুজ্জামান বিএনপি নেতা নেহালউদ্দিন মেম্বারের জানাজায় জনতার ঢল রূপগঞ্জে দুই শাখার শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ৩০ না’গঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব নারায়ণগঞ্জ এর উদ্যোগে স্বরচিত কবিতা পাঠ ও অভিযান পত্র গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন  এড, টিপু ও মুন্নাকে হত্যার চেষ্টাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মিছিল বকেয়া বেতনের দাবীতে না’গঞ্জে ক্রোণী এ্যাপারেলস্ লিঃ ও অবন্তী কালার লিঃ এর শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ সোনারগাঁয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিয়ে মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ সমাবেশ  যুব সমাজের মাঝে আল্লাহর প্রেম ও রাসূলে আদর্শ অনেকাংশে কমে গিয়েছে- মাও. ফেরদাউস

বীর মুক্তিযোদ্ধা সামিউল্লাহ মিলনের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১০৩ 🪪

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। তিনি বলছিলেন, তোমাদের কাছে যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ো। আমরা তখন চিনতাম না বন্ধুক কি? রাইফেল কি? কিন্তু আমাদের কাছে যা ছিল সেটা নিয়ে আমরা ঝাপিয়ে পড়েছি। যুদ্ধ করে স্বাধীন করতে আমাদের নয় মাস লাগতো না যদি আমাদের মাঝখানে মীরজাফর না থাকতো।

শুক্রবার (২রা ফেব্রুয়ারী) বাদ আসর বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ড কার্যালয়ে, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামিউল্লা মিলনের মৃত্যুতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্য তিরি আরও বলেন, আমরা চাই এমন আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এখানে প্রায় মাসে একবার হলেও যেন বসতে পারি। আমরা যাতে জানতে পারি যে আমাদের মাঝখানে কারা আছেন এবং কারা চলে গেলেন। আমি আসার পর জেনেছি ফিরোজ মেম্বার মারা গেছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভালো আছি এবং যারা চলে গেছেন আল্লাহতালা যেন তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন।

এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আজ আপনাদের সামনে বসেই জানতে পারলাম বন্দরে আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা মারা গেছেন। আসলে আমরা কে কখন মারা যায় সেটা আমরা কেউ বলতে পারিনা। দেখতে দেখতে মিলন ভাই আমাদের মাঝখানে চলে গিয়েছে। মিলন ভাই সব সময় মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। কার কখন কি প্রয়োজন, কার মেয়ের বিয়ে হবে, কার ছেলে লেখাপড়া হচ্ছে না সে সম্বন্ধে তিনি সবসময় খেয়াল রাখতেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মিলন ভাই অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক ভালবাসতেন। তিনি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধো ছিলেন সেটা কখনো মনে করতেন না। তিনি মনে করতেন মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করাই হয়তো তার কাজ। তার জীবনের এতো দিন মুক্তিযোদ্ধার সেবায়, জনগণের সেবায় পাড় করে দিয়েছেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা পয়সা জন্য যুদ্ধ করতে যাইনি, দেশের স্বার্থ জনগণের স্বার্থে যুদ্ধ করতে গিয়েছিলাম। আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। তিনি বলছিলেন, তোমাদের কাছে যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ো। আমরা তখন চিনতাম না বন্ধুক কি? রাইফেল কি? কিন্তু আমাদের কাছে যা ছিল সেটা নিয়ে আমরা ঝাপিয়ে পড়েছি। যুদ্ধ করে স্বাধীন করতে আমাদের নয় মাস লাগতো না যদি আমাদের মাঝখানে মীরজাফর না থাকতো। মুক্তিযুদ্ধের পর জননেত্রী শেখ হাসিনা এসেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছেন। যে নিজের অসুস্থ থেকে আমাদের সুস্থ রাখার কথা চিন্তা করেছেন। আমাদের উচিত সেই দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করা। আমাদের যেন বাংলাদেশের মানুষকে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভালো রাখতে পারেন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পেরেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। তিনি আশাতেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আজ ছোট-বড় সবাই জানতে পেরেছে।

দোয়ায় নারায়ণগঞ্জ জেলা দিপুটি কমান্ডার এ্যাড, নুরুল হুদার সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা কমান্ডার শাজাহান ভূঁইয়া জুলহাসের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড, আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নুরুন্নবী, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড পাইকপাড়া ইউনিট কমান্ডার নুর উদ্দিন আহমৃমেদ প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মিলনের ছেলে উজ্জ্বল এবং উত্তপল।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved Daily Narayanganj
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102