বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
না’গঞ্জ বিএনপি নেতা জাকির খানের পক্ষ থেকে সুমন মাহমুদের ঈদ শুভেচ্ছা যুবদল নেতা মাকসুদুল ইসলাম লিখনের ঈদ শুভেচ্ছা নারায়ণগঞ্জে জেলা কৃষকদলের ৭৯ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন  সিদ্ধিরগঞ্জ জামায়াতে ইসলামী’র উদ্যোগে  মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত ইসলামিক সোসাইটি অব নারায়ণগঞ্জ এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে না’গঞ্জ মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত  সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিএনপিতে ঠাই নাই – টিটু নারায়নগঞ্জ – ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন চালু উদ্বোধন করলেন – জাহিদুল ইসলাম শফিক রেহমানকে যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল না’গঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

শহীদ মিনার নদী দূষণ ও দখল নিয়ে নাগরিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৪২৮ 🪪

অদ্য ২১ জানুয়ারি রবিবার বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জস্থ চাষাড়া শহীদ মিনার চত্বরে নদী দূষণ ও দখল নিয়ে নাগরিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির আয়োজনে সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ হোসাইন এর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় নাগরিক অতিথি বৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন বাঙালির সভ্যতা-সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে নদী কে কেন্দ্র করে। মিশর কে নীল নদের দান বলা হয়; তেমনি নদীমাতৃক বাংলাদেশ কে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা নদ-নদীর দান বলা যায়। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে অভিন্ন ৫৭টি নদী।

নদী বিধৌত এ’দেশে ছোট-বড় মোট ২৩০টি নদী আছে আর শাখা-প্রশাখা সহ নদীর সংখ্যা প্রায় ৮০০টি। এ নদীগুলো সারাদেশে রক্তের শিরা-উপশিরার মতো বহমান। মেঘনা ব্রহ্মপুত্র শীতলক্ষ্যা ধলেশ্বরী বুড়িগঙ্গা আর বালু নদী পরিবেষ্টিত নারায়ণগঞ্জ জেলা। এই নদীগুলো নারায়ণগঞ্জের পরিবেশের বিচিত্র অনুষঙ্গ।

আমাদের দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠির জীবন ও জীবিকার সম্পর্ক রয়েছে নদীর সাথে। খরস্রোতা নদীগুলোতে জেলেরা মাছ ধরত, নৌকাবাইচ হতো, উৎসবের আমেজে মেতে উঠতো নদীর পাড়ের মানুষগুলো। কৃষি, মৎস্য,
জেলেদের পেশা এবং সংস্কৃতির পাশাপাশি মানুষের নিত্যদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ সবকিছুর একমাত্র উৎস ছিল এই নদীগুলো। বাংলাদেশের নদীগুলো মিঠা পানির প্রধান উৎস্য এবং দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ।

কিন্তু আমাদের দায়িত্বহীনতায় নদীগুলো দখল ও দূষণের শিকার। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সর্বত্রই ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলছি। কিন্তু সেই নদী আজ দখল, দূষণ আর ভরাটের প্রতিযোগিতায় বিপন্ন; অনেকাংশে বিলুপ্ত। নদীগুলোর নাব্যতা হারানোর নানাবিধ কারণের মধ্যে অবৈধ দখলদারিত্ব,অপরিকল্পিত
নদীশাসন, দূষণ, ভরাট, অপরিকল্পিত ড্রেজিং, ইচ্ছামতো বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি অন্যতম।

সব নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠছে বড় বড় কলকারখানা, শত শত বাঁধ। দূষণ-দখলের কবল থেকে কিছুতেই বাঁচানো যাচ্ছে না ব্রহ্মপুত্র মেঘনা আর শীতলক্ষ্যা নদীকে। প্রতিদিনই বাড়ছে দূষণ; বাড়ছে দখলদারদের সংখ্যাও। প্রভাবশালীরা নদী ভরাট করে দখলের উৎসবে মেতেছে।খাল, নদ-নদী, নর্দমা হয়ে অপরিশোধিত অবস্থায় নদীগুলোতে জমা হচ্ছে। নদীগুলোকে গিলে খাচ্ছে পলিথিনসহ শিল্প-কারখানার বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বর্জ্য, হাসপাতাল-ক্লিনিকের পরিত্যক্ত কেমিক্যাল, লঞ্চ-জাহাজের পোড়া তেল, মবিল, ওয়াসার পয়ঃবর্জ্য, গৃহস্থালি বর্জ্য ও নদীর পাড়ে।তারা আরও বলেন, মিঠা পানির মাছ বিলুপ্ত হয়েছে বহু আগে। জীব বৈচিত্রও নেই। এ নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন প্রায় শূন্যের কোঠায়। আদালতের রায় অনুযায়ী নদীগুলো এখন ‘জুরিসটিক পারসন’ বা ‘লিগ্যাল পারসন’। এর মধ্য দিয়ে মানুষের মতো নদীরও মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। সুতরাং নদীকে হত্যা করার অর্থ হলো বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হত্যা করা।
আদালত স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলাদেশের সব নদীই মূল্যবান এবং সংবিধান, বিধিবদ্ধ আইন ও পাবলিক ট্রাস্ট মতবাদ দ্বারা সংরক্ষিত।বাংলাদেশকে ‘নদীমাতৃক’ বলা হয়। নদী মায়ের মতো; নদী মা হিসেবে স্বীকৃত। নদী দূষনও মাকে হত্যা করার সামিল।

এই নদী দূষণ ও দখলে জারা জড়িত তাদের সহযোগিতা করছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুলোর অসাধু কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এ সকল অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চিহ্নিত করে তাদের কে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।যে সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান নদী দূষণে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেগুলো প্রয়োজনে বন্ধ করে দিতে হবে। ১৮ কোটি মানুষের জন্য উন্নয়ন। নদী দখল দূষণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১৮ কোটি মানুষের জীবনের হুমকি।তাই উন্নয়নের নামে অসাধু ও শিল্প প্রতিষ্ঠান অপ্রয়োজনীয় বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। যারা নদী দখল করে নদীর নাব্যতা ভিন্ন করছে তাদের কেউ শাস্তির আওতায় আনার জন্য উক্ত আলোচনা সভায় বক্তারা দাবি জানান। পরিশেষে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদ শীতলক্ষ্যা নদী দূষণমুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ গ্রহণ না করলে নদীপাড়ের লাখো মানুষের সমন্বয়ে পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন,এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনসভাপতি এম এ মহিন,মোঃআলী,ফজলুল হক ভূইয়া,মোঃজহিরুল ইসলাম,মোশাররফ হোসেন,
মোঃসিরাজ,নদী খাল ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির শফিকুল ইসলাম ঢালী, মানব কল্ল্যান পরিষদের চেয়ারম্যান এম এমান্নান ভূইয়া,জহিরুল ইসলাম খোকন, পরিবেশ গবেষক মোঃখালেদ সাইফুল্লাহ,যুগ্ম জেলা সমন্বয়কারী,
ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার – নারায়ণগঞ্জ জেলার রাকিবুল ইসলাম ইফতি,
সাধারণ পাঠাগারের,সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল হক, নারী উদ্দ্যেক্তা বুবলী আক্তার সহ প্রমূখ।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020 All rights reserved Daily Narayanganj
Design by: SHAMIR IT
themesba-lates1749691102