আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। তবে, সেই নির্বাচনে সম্পূর্ণ একতরফা নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। আর তাই, এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টিও অস্পৃষ্ট রেখেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ গনমাধ্যম কর্মবীদের বলেন, আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের অংশ নেয়া না নেয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এ বিষয়ে আমরা পরে সিদ্ধান্ত নিবো।
আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সাধারন সভায় আগামী ৩০ জনুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন এ্যাড, সামসুল ইসলাম ভূইয়া। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এ্যাড, আশরাফ হোসেন, এ্যাড, আবদুর রহিম, এ্যাড, মেরিনা বেগম, এ্যাড, সুখ চাঁদ সরকার। আপীল বোর্ডে দায়িত্ব পালন করবেন এ্যাড, ইমদাদুল হক এ্যাড, তারাজ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড, নুরুল হুদা এবং এ্যাড, হুমায়ুন কবির।
গতবার একই নির্বাচন কমিশনের অধিনে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের প্যানেল। তবে, এবার তাদের অধিনে নির্বাচন না করার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে নেতৃবৃন্দরা। নির্বাচন প্রসঙ্গে গনমাধ্যম
কর্মীরা জানতে চাইলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বলেন নির্বাচনের আগেই যদি নির্বাচন হয়ে যায়, তাহলে তো আর সেই নির্বাচন করে কোনো লাভ নেই। সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে বানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনার। এই নির্বাচন আর কেমন হবে, তাতো বুঝতেই পারছেন। আমরা চেয়েছি যে, নিরপেক্ষ লোকদের দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করানো হোক। নারায়ণগঞ্জ বারে (আইনজীবী সমিতি) তো আওয়ামী লীগের মধ্যেই নিরপেক্ষ লোক আছে, তাদের দিয়ে নির্বাচন করুক। কিন্তু তারা সেটি করতেছে না। ওনারা আমাদের সাথে কোন কথা না বলে একতরফা ভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে।
তারা আরও বলেন, আমরা তাদের পরামর্শ দিয়েছি, যাতে নিরপেক্ষ লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক। কিন্তু সেটা তারা করেনি। দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে কুলশিত ও সকল নির্বাচনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এই সরকার।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘তারা একটি একতরফা নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। আমরা তাদের এই নির্বাচন করবো কিনা, সেটা পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।