নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সংসদ সদস্য ও লাঙ্গল মার্কার পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আপনারা যদি ভোট দিতে না যান সারা বিশ্বের কাছে আমরা লজ্জা পাব। আমাদের মানুষ নাকি ভোট দিতে জানে না। এবার যুদ্ধ ৭ তারিখে। এটার জন্য বন্দুক-পিস্তল লাগবে না। আপনার হাতে ব্যালট পেপার দেওয়া হবে। ব্যালটে একটা সিল দিলেন তো একজন রাজাকারকে হত্যা করলেন। একজন অগ্নিসন্ত্রাসকে হত্যা করলেন।
শনিবার (৩০শে ডিসেম্বর) বিকালে আমলাপাড়া গার্লস স্কুল এলাকায় নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি যখন অসুস্থ ছিলাম তখন আমার এলাকার এমন কোনো মসজিদ বাকি ছিল না যেখানে আমার জন্য দোয়া হয়নি। আমার কাজিম ভাই বলেন, ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আমি বলি মাত্র ২০ শতাংশ হয়েছে, আরও ৮০ শতাংশ কাজ বাকি। আমি পরিশ্রম করেছি। আমি রাস্তার ধারে মুরগি বিক্রি করেছি, বাস চালিয়েছি। আজকের ইয়াং ছেলেরা কাজ করতে ভয় পায়। কাজ কাজই, এটা ইমানের অঙ্গ। এখনও আমি সকালে উঠে গরুর দুধ বিক্রি করি, গরু বিক্রি করি। আপনারা আমার দাদা-বাবাকে চেনেন। আমার বড় ভাই-ছোট ভাইকেও চেনেন। আমাকে একটু পরে চিনেছেন। আমি রাস্তার মানুষ। আমার মা-বোনেরা বলেন সেলিম ওসমান ‘তুমি গ্যাস দাও না ভোট চাও কেন?’। গ্যাস আমার হাতে না, এটা আল্লাহর দান। আমরা কেউ ভাবছিলাম এখান দিয়ে একটি রাস্তা হবে। এটার নাম নাগিনা জোহা সড়ক হবে। আমার এলাকায় কোনো দলাদলি নেই। সবাই আমার ভালোবাসার মানুষ। আমি অন্য জায়গায় বলি আমাকে ভালো না লাগলে অন্য জায়গায় ভোট দিন। এটা আমার বাড়ি, সাত তারিখ আপনার প্রথম কাজ, সকাল সকাল লাঙ্গল মার্কায় একটি ভোট দেবেন।
এসময় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আমলাপাড়া বৃহত্তর পঞ্চায়েত কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ হানিফ সরদার।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোঃ বাদল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জাতীয় পার্টির নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আজহার হোসেন, জেলা যুব সংহতির আহ্বায়ক রিপন ভাওয়াল, ১৩নং- ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চৌধুরী, যুগ্ন আহ্ববায়ক হারুন উর রশিদ, শেখ মনির হোসেন, সদস্য সচিব মতিউর রহমান মুক্তি, মোঃ আনোয়ার হোসেন,মীর্জা মনিরুজ্জামসন, মোজ্জামেল হোসেন লিটন, মোঃ হানিফ মিয়া, মোঃ রাজা হোসেন, জাকির হোসেন, আব্দুল কাদির, মৎস্যজীবী লীগের নেতা মোঃ জনি খাঁন, মোঃ মানিক সরদার সহ প্রমূখ।