ফতুল্লায় শামীম ওসমান বলেন,আমি রাজনীতি করতে আসছি ধান্ধা করতে আসি না।আমি রাজনীতি পরিবারের সন্তান।আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে আসছি।এমপি মন্ত্রী হওয়া আমার কাছে কোন ব্যাপার না।আমি নির্বাচন করবো আপনাদের কাছে ভোট চাইবো তা করবো না।আমি আপনার কাছে গিয়ে বলবো না আপনার চেহারা আমার বোনের মত। আমি এই নটাংকি করতে আসি নাই। আমি রাজনীতি করতে আসছি আপনাদের জন্য। আপনাদের সমস্যা হবে সেটা আমাকে বলবেন।সমস্যা আপনাদের তাই আপনেরাই বলবেন।
(২৫শে ডিসেম্বর) সোমবার রাত ১০টায় ফতুল্লার সস্তাপুরের ৫নং ওয়ার্ডে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনের ৪ নং আসনের নৌকার পদপ্রার্থী একেএম শামীম ওসমানের উঠান বৈঠকে এ কথা বলেন।
ফতুল্লা ৫নং ওয়ার্ডের উঠান বৈঠক শামীম ওসমান বলেন,আমি আজকে এখানে ভোট চাওয়ার জন্য আসি নাই।আমি এই।পর্যন্ত কোথাও ভোট চাই নাই।আমি আপনাদের ঘুম থেকে জাগাতে আসছি।আপনেরা বলবেন লোকটা পাগল আমরা চেয়ে আছি।এদেশে কি হচ্ছে আপনেরা জানেনও না।আপনাদের আমি জানিয়ে জাগিয়ে দিতে আসছি।আগামীকাল আমি নাও থাকতে পারি।আমি জানি আমার পিছু পিছু বন্ধকের নল নিয়েও ঘুরছে।
শামীম ওসমান বলেন,কোভিড এর সময় আমরা কিছু করি নাই।এই ৫ বছরে আমরা রাস্তাঘাটের কাজ করেছি।আমি যেই রাস্তা দিয়ে এসেছি এই রাস্তা সহ সব রাস্তা করেছি ৬ শ ২৫ কোটি টাকা স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে। স্কুলের বিল্ডিং করেছি ২৫০ কোটি টাকা।এছাড়া এনেছি ডিএনডি প্রকল্প,৫শ কোটি টাকার ৬ লেনের রাস্তা, ২৬ শ কোটি টাকার ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ পুরাতন সড়কের রাস্তা ফ্লাইওভার, শেখ কামাল আইটি ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান প্রযুক্তি কলেজ, নারায়ণগঞ্জে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ দিয়েছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।এভাবে আমরা প্রায় ১২ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকার কাজ এনেছি এই ৫ বছরে। নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে আমি আশাকরি আর ৫শ কোটি টাকা পেলে সকল রাস্তার কাজ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আর এই টাকা আনতে আমার ৬ মাস সময় লাগবে।যত ড্রেন বা রাস্তা বলেন সব করতে। এই কাজ গুলো যে আমি করেছি ধরেন আমি এই ৫ বছরে একটা গাছ লাগিয়েছি। অর্থাৎ আমি দিয়েছি। আপনে যদি মনে করেন আমি বটগাছ,ফুল গাছ তাহলে আপনেরা আমাকে ভোট দিবেন।আমি কোন ভিখারি না যে আপনাদের কাছে আমি ভোট চাইবো। তাই আপনাদের কাছে যদি মনে হয় আমি আপনাদের জন্য করেছি তাহলে আপনেরা আমাকে ভোট দিবেন।ভোট দেওয়া আপনাদের ঈমানী দায়িত্ব আপনেরা আপনাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরো বলেন,আকাশে ঈগল পাখি ২১ দিন একনাগাড়ে উড়ে। ঈগল টার্গেট করে হরিণ সে ঠিক তার টার্গেট নিয়ে যাচ্ছে। তারেক রহমান হচ্ছে সেই রকম।তারা টার্গেট করে অবরোধ করছে। ওরা ট্রেনে আগুন দিয়েছে আমার বলতে কষ্ট হচ্ছে একটা বাচ্চাকে জড়িয়ে মারা গেছে।বিএনপির সমাবেশে এক পুলিশকে ওরা মেরেছে।মৃত্যু পুলিশকেও দা দিয়ে কুপিয়েছে। ওরা ঈগল পাখির মত টার্গেট করছে আমাদের দেশকে।ওরা আমাদের দেশের স্বাধীনতাকে আঘাত করার জন্য চেষ্টা করছে। যেদেশে ৩০ লক্ষ ভাইবোন, ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম এর বিনিময়ে স্বাধীনতা এসেছে সে দেশের জন্য কি আপনেরা ভোট দিতে পারবেন না? আপনেরা ভোট দিবেন আপনাদের কাছে আমার এটা অনুরোধ।এই এলাকায় যারা রাজনীতি করো,করো কিন্তু ভাইলেন্সে যাইও না।২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তোমরা আমাদের অনেক ছেলেপেলে মেরেছো। তোমরা রাজনীতি করো কিন্তু মানুষের উপর আঘাত করো না তাহলে আমরা কিন্তু তোমাদের ছাড়বো না।
এসময় আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মজিবুর রহমানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উঠান বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক টগর, ফতুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিছির আলী,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহরিয়ার রেজা হিমেল, জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য আব্দুল কাদির,
ফতুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মজিবুর রহমান, ফতুল্লা বাস্তহারালীগের সভাপতি শহর আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী শরিফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, ফতুল্লা ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি মোঃবাছেদ প্রধান প্রমূখ।