গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১২টায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভূঁইয়াপাড়া আল সাবা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়- গত ৫ জানুয়ারী জালাল উদ্দীন’র পুত্র হৃদয় বেপারী ও লাভলী বেগম’র কন্যা সুমাইয়া আক্তার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে হৃদয় বেপারী’র সাথে সুমাইয়া আক্তার’র বনিবনা না হওয়ায় গত ৪ অক্টোবর আড়াইহাজার থানার হাইজাদী ইউনিয়ন কাজী অফিসের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রিকৃতভাবে সুমাইয়া আক্তারকে তালাক প্রদান করে হৃদয়।
১২ অক্টোবর অত্র তালাকের বিষয় জানতে পেরে রাত আনুমানিক ১২ টায় মৃত কালাচান বেপারী’র পুত্র হানিফ (৪৮), মৃত আব্দুল রশীদ’র পুত্র জুয়েল (৩০) ও লাভলী বেগম (৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জন সন্ত্রাসী নিয়ে হৃদয় বেপারীকে ঘরে না পেয়ে তার পিতা জালাল উদ্দীনকে গালিগালাজ করতে থাকে।
গালিগালাজের এক পর্যায়ে জালাল উদ্দীনকে চর, থাপ্পড় ও কিল ঘুষি মেরে মারাত্মক নিলা ফুলা ও জখম করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় লোহার পাইপ দিয়ে তারা জালাল উদ্দীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিঠে ও কোমরে আঘাত করতে থাকে আর এ সুযোগে লাভলী বেগম ঘরের স্টীলের আলমারি থেকে হৃদয় বেপারী’র সৌদি আরব পাঠানোর জন্য জমাকৃত ৫ লক্ষ টাকা ও পাসপোর্ট চুরি করে নেয়। এসময় জালাল উদ্দীন’র ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা তাদের প্রাণনাশ করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে চলে যায়। এবিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে।