আগামী নির্বাচন নিয়ে যারা টেনশনে আছেন, তাদের বলছি কিচ্ছু হবে না। গ্যাস বেলুন যেমন ফুস করে ফুস হয়ে যায়, আমি বলে দিচ্ছি আস্তে করে ফুস হবে। ঠিক টাইম মতো নির্বাচন হবে। জাতির পিতার কন্যার আন্ডারে নির্বাচন হবে, এক চুল পরিমান এদিক ওদিক হবে না। জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে। সুষ্ঠ সুন্দর ভাবে জনগণের ভোট নিয়ে শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শ্রমিক লীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ই অক্টোবর) বিকেলে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান আরও বলেন দলের ভিতরে নেতা-নেত্রীদের সমালোচনা করে বলেন নারায়ণগঞ্জে বড় বড় নেতা-নেত্রী আছে। যখন নৌকা দরকার হয়, তখন নৌকার জন্য জান দিয়ে দেয়। এখনতো দেখতেছি না অনেকরে। জামাত বিএনপি”র সুশিলদের বিরুদ্ধে গত ১ বছর, ২ বছরের মধ্যে দেখলাম না। নৌকাও নিলাম, গাড়িও নিলাম, পেপো করে গাড়িও চল্লো । যাক হয়তো ভবিষ্যতে করবে । কারো বিরুদ্ধে কথা বলবো না, সবাই ভালো থাকুক সুখে থাকুন।
শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সংগঠনটাকে সুন্দর করে গুছান। হাইব্রিড-টাইব্রিড নিয়েন না, যারা অরিজিনাল, সিএস, আরএস ও এসএ পর্চা আছে, তাদের নিয়েন। কম নেন, লোক কম হোক, কিন্তু সলিট হয় যেনো ।
মাদক নিয়ে শামীম ওসমান বলেন, মক্কায় কাবা শরিফ ছুয়ে শপদ করে ছিলাম। টানবাজারের পতিতা পল্লি উচ্ছেদ করবো, সেটা উচ্ছেদ করতে পেড়েছি। কারণ সেটা একটা নির্দিষ্ট জায়গায় ছিলো কিন্তু এবার যেটা ধরেছি, সেটা খুবই কঠিন। আমার বা পুলিশের পক্ষে একা মাদক বন্ধ করা সম্ভব না। যদি না আমরা সবাই মিলে এগিয়ে না আসি। যারা মাদক বিক্রি করছে, সেতো ক্যারিয়ার, কিন্তু যে হোল সেলার সে হচ্ছে মূল। সে দেখবেন আমাদের মতো কারো পাশে এসে দাঁড়িয়ে আছে। সুন্দর করে বক্তিতা দিচ্ছে। বড় বড় এমপি মন্ত্রী, বিএনপির নেতা কিংবা সাংবাদিক সেজে বসে আছে। টুপি পড়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তাছে। মানুষ মনে করছে, বাহ্ কত ভালো মানুষ।
তিনি আরও বলেন, এই উন্নয়ন করে কি হবে, যদি না আগামী প্রজন্মকে বাঁচানোর জন্য আমরা এগিয়ে আসতে না পারি। তাহলে হলে যা কিছু করছেন, সব ধ্বংস হয়ে যাবে মাদকের জন্য। মাদক একটা পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়। মাদক মায়ের চোখের সামনে সন্তানকে নষ্ট করে ফেলে।
মাদক বন্ধ করতে সাংবাদিক সহ সকল ধরণের রাজনৈতিক নেতার কাছে যাবেন শামীম ওসমান। সকলকে ডেকে ও চিঠি দিয়ে সাহায্য চাইবেন।
তারা আসবে কি আসবে না, সেটা তাদের ব্যাপার। এরপর আমরা মাঠে নামবো। ভোট ফোটের আমি চিন্তা করি না, ভোট করবো কি না, তাও জানি না। ভোট কি, কালকে বাঁচি কিনা ঠিক নাই। আমি মৃত্যুর সময় ভয় পেতে চাই না। মরার সময় খুশি মনে যেতে চাই।এসময় জাতীয় শ্রমিকলীগের জেলা কমিটির আহবায়ক আব্দুল কাদির এর সভাপতিত্বে ও জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল,নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড.খোকন সাহা,কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের দরকষাকষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কাজিম উদ্দিন প্রধান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এহেসানুল হক নিপু,শ্রমিকলীগ নেতা আসরাফ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, মজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোহেল আহম্মেদ মাইজ ভান্ডারী,সোনারগাঁ উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক রোবায়েত হোসেন শান্ত সহ প্রমূখ।