আনন্দধামের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস -২০২৩ উপলক্ষে “পরিবর্তনশীল বিশ্বে স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মানে স্বাক্ষরতার গুরুত্ব”- শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমুর সভাপতিত্বে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু রোডে অবস্থিত হান্ডি মাটন রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এই সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে ভার্চ্যুয়ালী উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের প্রতিষ্ঠাতা তানভীর হায়দার খান। সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের উপদেষ্টা প্রাক্তন পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, মানবাধিকার কাউন্সিলের জেলা সভাপতি আলহাজ্ব ফায়েজউদ্দিন আহমেদ লাভলু, দৈনিক অগ্রবানীর প্রকাশক ও সম্পাদক স্বপন চৌধুরী, দৈনিক ইয়াদের সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, নাসিক (সংরক্ষিত) কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার দিনা সহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের বক্তব্যে জাতীয় উন্নয়নে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক তানভীর হায়দার খান তার বক্তব্যে বলেন, প্রকৃত শিক্ষাব্যতীত পৃথিবীর কোথায়ও গনতন্ত্র নিরাপদ নয়। সমস্ত পৃথিবীতে যতগুলু দেশ উন্নত হয়েছে তারা সবাই সুশিক্ষায় শিক্ষিত। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলতে চাই আমাদের দেশের প্রতিটি অভিভাবককে তাদের সন্তানের পড়াশুনার ব্যাপারে সর্বোচ্চ দৃষ্টি দেওয়া উচিত। প্রকৃত শিক্ষায়ই মানুষকে অন্ধত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারে। একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতির সন্তান যদি অযোগ্য হয় তাহলে সে যখন সেই ব্যবসা অধিগ্রহণ করে আপনারা দেখবেন শত বসরের গড়া একটি প্রতিষ্ঠান তার অযোগ্যতার কারনে কয়েক মাসেই বিনাশ হয়ে যেতে পারে। এমন বহু উদাহরণ আপনারা দেখেছেন। ঠিক তেমনি ভাবে রাস্ট্রের স্বাধীন সত্ত্বা সুশিক্ষাবিহীন অসৎ নেতৃত্বের কারনে কলুষিত হতে পারে। তাই আমি মনে করি বিশ্বয়ায়নের এই যুগে যোগ্যতা বিহীন পারিবারিক উত্তরাধিকার নয়, সৎ ও সুশিক্ষিত জনগুষ্ঠীই পারে দেশের স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে পারে।
যোগ্যতাহীন পরিবারতন্ত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করে তুলছে।
সভাপতির বক্তব্যে হাসিনা রহমান সিমু বলেন, সাক্ষরতা ব্যতীত অর্থাৎ নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যতীত একজন নাগরিক তার প্রচন্ড দেশপ্রেম থাকা সত্যেও সার্বিক ভাবে দেশ উন্নয়নে সম্পৃক্ত হতে পারছেনা। আমি মনে করি দেশের প্রত্যেক নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে দেশকে নিরক্ষরতা মুক্ত করতে, এটা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।
আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম ও অতিরিক্ত মহাসচিব এ্যাড, শেখ মোঃ জসিমের যৌথ সঞ্চালনায়, আনন্দধামের মহাসচিব বিশ্বজিৎ সাহার সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের প্রধান সমন্বয়কারী বাবু রিপন ভাওয়াল, অতিরিক্ত চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মুক্তি, বাবু শ্যামল দত্ত , যুগ্ম মহাসচিব বিপ্লব ঘোষ, মোতালেব সানি, অর্থ পরিচালক খোকন গাজী,সাংগঠনিক পরিচালক আবদুল কাইয়ুম আল আমিন,সাহিত্য পরিচালক এনামুল হক প্রিন্স সহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শেষে আনন্দধাম কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নব নিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার মো: মারুফের পক্ষ থেকে সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে ১৯৬৭ সাল থেকে ৮ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস গুরুত্ব সহকারে সমস্ত বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। মহামান্য রাস্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে বানীও দিয়েছেন।