নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামে বিচার সালিশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নির্মমভাবে নিহত বাবু হত্যাকারীদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নিহত বাবুর পরিবার ও এলাকাবাসী।
১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় কানাইনগর বেকারি মোড়ে নিহত বাবুর বড় বোন ও মামলার বাদী মৌসুমী আক্তার এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নিহতের দাদি ফজিলত নেছা, খালা নদী আক্তার, বাবুর স্ত্রী আসমা বেগম, মামা দিদার হোসেন, পঞ্চায়েত মাদবর শরিফ উদ্দিন শিরিমিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোন কাজ করছে না। যারা যারা এই কাজ করেছে তাদের ফাঁসি চাই। বাবুর সাথে কার পূর্ব শত্রুতা ছিল না।
বিচারের সময় বাবু গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি থেকে নামিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
আমরা চাই আসামীরা যেভাবে বাবুকে মারছে সেভাবে আসামিদের মারতে চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা যদি আসামি গ্রেফতার করতে না পারেন আমাদের ওপর ছেড়ে দেন। কিভাবে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিতে হয় আমরা সেটা জানি।প্রায় ৮ দিন অতিবাহিত হতে চলল এখনো পর্যন্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল কানাইনগর গ্রাম প্রদক্ষিণ করে হত্যাকারীদের বিচার ও ফাঁসি দাবি করেন।
উল্লেখ্য গত ২ সেপ্টেম্বর শনিবার কানাইনগরে বিচার সালিশ বৈঠক বসলে দুই গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ১২ থেকে ১৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়।
পরের দিন রবিবার তিন সেপ্টেম্বর ভোর চারটায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদয় হোসেন বাবুর মৃত্যু হয়।
বাবু মৃত্যুর ৮ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত বাবু হত্যার এজাহার নামীয় কোন আসামিকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে মানববন্ধন কর্মসূচি হতে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে বিচার ও ফাঁসির ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানানো হয়।।